লালমনিরহাট বার্তা
অধিক লাভ হওয়ায় শীতের সবজি শিম চাষে ঝুঁকছে রংপুর অঞ্চচলের চাষিরা
গোলাম মোস্তফা আনছারী, রংপুর অফিস | ৯ নভে, ২০২৩, ১১:৪১ AM
অধিক লাভ হওয়ায় শীতের সবজি শিম চাষে ঝুঁকছে রংপুর অঞ্চচলের চাষিরা

রংপুর জেলার বিভিন্ন উঁচু এলাকা গুলোতে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে শিম চাষ। অনেক কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় দিন- দিন শীতের সবজি শিম চাষেদ ঝুঁকে পড়েছেন চাষিরা।শীতকালীন সবজির মধ্যে অন্যতম হলো শিম।আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সবজির চাষাবাদ ভালো হবে।জেলায় এবার ১২ হাজার হেক্টর জমিতে সব্জি চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে।তবে ৫ হাজার হেক্টরের অধিক জমিতে সিম,ফুলকপি,পাতা কপি সহ বিভিন্ন আগাম জাতের শীত কালীন সব্জি রোপন করা হয়েছে।

জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার রানীপুকুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে মাঠের মাঠে শিম চাষ হয়েছে।শীতের আগাম শিম চাষ করে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে চাষিরা জানান।প্রতিবছরই জেলার বিভিন্ন এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে আগাম জাতের শিম। অন্যান্য ফসলের তুলনায় কম পরিশ্রম ও খরচে অধিক লাভ হওয়ায় ছিম চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা।

মিঠাপুকুর উপজেলার রানীপুকুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, শীত শুরু হতে না হতেই ফুলে ফুলে ভরে উঠছে শিমখেত। দূর থেকে দেখে মনে হচ্ছে ফুলের বেগুনি গালিচা।কৃষকেরা বাজারে যত আগে শিম তুলতে পারবেন তারা ভালো দাম পাবেন।মৌসুম শুরুর আগে অনেকটা প্রতিযোগিতার মতো শিমের আবাদ করেছেন সব্জি চাষিরা।

উপজেলার রানীপুকুর ইউনিয়নের খানপাড়া গ্রামের আরিফুল ইসলাম এ বছর নিজের এক একর জমিতে শিম চাষ করেছেন তিনি বলেন, ইতিমধ্যে কিছু আগাম শিম খেত থেকে তুলে বিক্রি করেছেন প্রতি কেজি ৯০ টাকায়। শীত শুরুর আগে আগে শিম বিক্রি করতে পারলে লাভ বেশি হয়।সেভাবেই শিমের খেত তৈরি করেছি।নিজের এক একর জমিতে গত বছরও শিম আবাদ করে দুই লাখ টাকার শিম বিক্রি করেছি।এ মৌসুমে তিন লাখ টাকার অধিক শিম বিক্রি হবে বলে আশা।

রংপুরঃ প্রতিবছরই জেলার বিভিন্ন এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে আগাম জাতের শিম। ছবিটি মিঠাপুকুর উপজেলার রানীপুকুর ইউনিয়নের  থেকে তুলেছেন রাশেদ হোসেন রাব্বি।
রংপুরঃ প্রতিবছরই জেলার বিভিন্ন এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে আগাম জাতের শিম। ছবিটি মিঠাপুকুর উপজেলার রানীপুকুর ইউনিয়নের থেকে তুলেছেন রাশেদ হোসেন রাব্বি।

একই এলাকার চাষিরা বলেন, মৌসুমের শুরুর দিকে এবার ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে জমি থেকেই শিম নিয়ে যান কাচামাল ব্যবসায়ীরা। অল্প কিছুদিন পর বাজারে আমদানি বেড়ে গেলে দাম নেমে আসে। বর্তমানে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পুরো খেতের শিম উঠতে শুরু হলে দাম কমবে। তবুও ভালো আসবে চাষিদের মনে এ ধারনা।জেলার হাট বাজর গুলোতে এখন প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।

রংপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ওবায়দুর রহমান মন্ডল বলেন, রংপুরের মিঠাপুকুর এলাকা হলো উঁচু জমি। এসব জমি শীতকালীন সবজি চাষের জন্য উপযোগী। শীতকালীন সবজির মধ্যে শিম আগাম বাজারে নিয়ে আসতে চাষিরা মার্চ-এপ্রিলে জমিতে সিম বীজ রোপন করেছে।আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সবজির চাষাবাদ ভালো হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।জেলায় এবার ১২ হাজার হেক্টর জমিতে সব্জি চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করাহয়েছে।তবে ৫ হাজার হেক্টরের অধিক জমিতে সিম,ফুলকপি,পাতা কপি সহ বিভিন্ন আগাম জাতের শীত কালীন সব্জি রোপন করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর