লালমনিরহাট বার্তা
হাতীবান্ধায় ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়ের পূর্বে বন্ধ
স্টাফ রিপোর্টারঃ | ১৭ মে, ২০২২, ১১:১৮ AM
হাতীবান্ধায় ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়ের পূর্বে বন্ধ
জেলা তথ্য অফিসের নিয়মিত প্রচার কার্যক্রম প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনের জন্য জেলা তথ্য অফিসার তার লোকজনকে নিয়ে গত ১১ মে বেলা ২টায় হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে দেখতে পান বিদ্যালয়টি বন্ধ। প্রধান শিক্ষকের কাছে মোবাইল ফোনে প্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণ জানতে চাওয়া হলে কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
অত:পর তথ্য অফিসের টিমটি, ২টা ৩৭ মিনিটে নিজ শেখ সুন্দর দাখিল মাদ্রাসায় গিয়ে দেখতে পান মাদ্রাসাটি বন্ধ। সেখান থেকে ২টা ৪৭ মিনিটে দোয়ানি উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখতে পান যে উক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। অথচ সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার এবং শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশনা রয়েছে। স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ায় চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। পাশাপাশি জন সাধারণের ট্যাক্সের টাকাও অপচয় হচ্ছে। অত:পর জেলা তথ্য অফিস হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গিমারী ইউনিয়ন নন-এমপিও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আলহাজ্ব গহের উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করেন। সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড ও নারী ও শিশু উন্নয়নে এই প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
এ ব্যাপারে জেলা তথ্য অফিসার মামুন অর রশিদ বন্ধ থাকা অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩টি স্থির চিত্র ধারণ করেন। তিনি এ বিষয়ে স্কুল ৩টির চিত্রসহ জেলা প্রশাসককে লিখিতভাবে অবহিত করেছেন। যার অনুলিপি উপজেলা নির্বাহী অফিসার, হাতীবান্ধা ও জেলা শিক্ষা অফিসারকে প্রদান করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ এর সাথে মোবাইলে কথা বললে তিনি জানান, স্কুল ২টির প্রধান শিক্ষক ও মাদরাসার সুপারকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে কারণ দর্শানোর জন্য পত্র দেয়া হয়েছে। করোনাকালীন সময়ে প্রায় ২ বছর জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ছিল। হাজার হাজার শিক্ষার্থী ঝড়ে গেছে। জেলায় ৯শত ৮১ জন শিশু শিক্ষার্থীর বাল্য বিবাহ সংঘঠিত হয়েছে। শিক্ষক কর্মচারীরা নিয়মিত বেতন ভাতা পেয়েছেন। অনেক শিক্ষক স্কুল বন্ধের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রাইভেট স্কুল খুলে টাকা উর্পাজন করেছেন।
অভিভাবকদের অনেকেই (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) এই প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্লাস হয় না বলেই চলে। প্রাইভেট ছাড়া শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করতে পারে না। একজন মহিলা অভিভাবক জানালেন, তার কন্যা সন্তানকে ৬টি বিষয়ে পড়ানোর জন্য প্রাইভেটে দিয়েছেন। তিনি কন্যার প্রাইভেটের টাকা জোগার করতে হিমশিম খাচ্ছেন।
এই বিভাগের আরও খবর