লালমনিরহাট বার্তা
মওলানা ভাসানীর ভাষা আন্দোলন
বার্তা ডেস্ক | ১২ এপ্রি, ২০২৩, ৯:০৫ AM
মওলানা ভাসানীর ভাষা আন্দোলন

১৯৫১ সালের ২৪ শে জানুয়ারি মওলানা ভাসানী ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্বশাসন, নির্বাচন, বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষার মর্যাদা দান, পূর্বপাকিস্তানের জমিদারী প্রথা উচ্ছেদসহ বিভিন্ন দাবি দাওয়ার প্রেক্ষিতে সভা সমাবেশ হতে থাকে। ১৯৫২ সালের ৩০ জানুয়ারি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিম উদ্দিন ঢাকায় ঘোষণা করলেন যে, উর্দ্দু হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্র ভাষা। তার ঘোষণার সাথে সাথে বাংলার জনগণ ক্ষোভে ফেটে পড়ে। পরের দিন ৩১ জানুয়ারি ঢাকা কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীতে সর্বদলীয় রাষ্ট্র ভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হলে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে সভাপতি-কাজী গোলাম মাহবুবকে করা হয়। ২৮ সদস্যের কমিটি গঠিত হলে তাদের মধ্যে আবুল হাসিম, আতাউর রহমান খান, কমর উদ্দীন আহম্মেদ, শাসছুল হক, আব্দুল মতিন, মোহম্মদ তোয়াহা, গাজীউল হক, অলি আহাদ, শামছুল আলম, এম মহিবুল হক, মুহম্মদ সুলতান এবং খালেক নেওয়াজ প্রমুখ। শেখ মুজিবুর রহমান তখন জেলখানায় আবদ্ধ ছিলেন এবং ভাষার দাবিতে তিনিও জেলখানায় অনশন করেন। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রæয়ারিতে রাষ্ট্র ভাষার দাবিতে ছাত্র জনতা ১৪৪ দ্বারা ভঙ্গকালে পুলিশ মিছিলের উপর গুলি চালায়। এতে রফিক জব্বার বরকত শফিক সহ অনেকেই শাহাদত বরণ করেন। ১৯৫২ এর ২২ ফেব্রুয়ারি এ জঘন্য হত্যাকালে প্রতিবাদে মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে এক প্রতিবাদ মিছিল বাহির হয়ে সাফ জানিয়ে দেন যে রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই, জুলুম শোষণের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম চলরেই। নূরুল আমীনের ফাঁসি চাই। সরকার আওয়ামী মুসলিম লীগ সভাপতি বাঙালির প্রিয় নেতা মওলানা ভাসানী, শামছুল হক ও মওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীসকে গ্রেফতর করে। জেলে গিয়ে মওলানা ভাসানী অনশনের পরিবর্তে মুক্তির দাবিতে ৩৫ দিন রোজাব্রত পালন করেন। অবশেষে ১৯৫৩ সালে এপ্রিল মাসে তিনি জেল থেকে মুক্তি লাভ করেন।

এই বিভাগের আরও খবর