লালমনিরহাট বার্তা
লোডশেডিং এ সিরাজগঞ্জের ১ লাখ তাঁত কারখানা বন্ধ
ইত্তেফাক | ৭ জুন, ২০২৩, ৫:৫৪ AM
লোডশেডিং এ সিরাজগঞ্জের ১ লাখ তাঁত কারখানা বন্ধ

লোডশেডিং, উৎপাদিত কাপড় বিক্রি করতে না পারা ও শ্রমিক সংকটের কারণে সিরাজগঞ্জের তাঁত বন্ধের উপক্রম। এতে বেকার হয়ে পড়ছেন হাজার হাজার শ্রমিক।

এদিকে সুতার বাজারমূল্য ক্রমশ বাড়ছে ফলে কাপড় উৎপাদনে খরচ বাড়ছে। যার কারণে এই ব্যবসা টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে তাঁত মালিক জন্য। এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা জানান, জেলার ৩ লাখ তাঁত কারখানার মধ্যে ইতোমধ্যে ১ লাখ কারখানা বন্ধ হয়েছে।

লোডশেডিংয়ের কারণে কারখানা মালিকেরা ডিজেল চালিত জেনারেটরের সাহায্যে তাঁত কারখানা সচল রাখার চেষ্টা করলেও ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কারখানা সচল রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে পড়েছেন তাঁত শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকেরা। পরিবার নিয়ে কোনোমতে দিন কাটছে তাদের।

শ্রমিকেরা জানিয়েছেন, মহাজন কাপড় বিক্রি করতে পারে না, তাই কারখানার শ্রমিকদের কাজে আসতে নিষেধ করা হচ্ছে। আগে সারা দিনে একজন শ্রমিক ৭০০-৮০০ টাকার কাজ করতেন। এখন সারা দিনে একজন শ্রমিক ৩০০-৪০০ টাকার কাজ করছেন। এ অবস্থায় সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে শ্রমিকেরা।

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার তাঁত মালিক মো. আবু শাহীন প্রামাণিক বলেন, তাঁত মালিক হিসেবে বর্তমানে আমরা দুর্বিষহ জীবনযাপন করছি। দিনের বেলায় ৩-৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। এ সময় তেল, ডিজেল দিয়ে জেনারেটরের সাহায্যে কাপড় উৎপাদন করতে গেলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যায় এবং শ্রমিক থাকে না। বর্তমানে কাপড় ব্যবসায়ীরা লোকসানে রয়েছে। এরপর শ্রমিক সংকট রয়েছে। শ্রমিকের অভাবে কাপড় উৎপাদন করা যাচ্ছে না।

বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড সিরাজগঞ্জের বেলকুচি-চৌহালী উপজেলার লিয়াজোঁ অফিসার তন্বী বলেন, ‘আমরা তাঁতিদের স্বাবলম্বী করতে লোন দিয়ে থাকি। আগে আমাদের লোন ছিলো ১৩ হাজার টাকা। এখন আমরা ৫০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন দিচ্ছি। ১৯টি তাঁত যাদের আছে তারা প্রান্তিক তাঁতি। তাদের জন্য আমরা লোনের ব্যবস্থা করেছি। তাঁতিদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। দুর্যোগ সময়ে তাদের সহযোগিতা করে থাকি।

এই বিভাগের আরও খবর