লালমনিরহাট বার্তা
দেশে ৩৭ শতাংশ পরিবার ঋণগ্রস্ত
স্টাফ রিপোর্টার | ৩০ এপ্রি, ২০২৩, ৬:২৮ AM
দেশে ৩৭ শতাংশ পরিবার ঋণগ্রস্ত

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস), ২০২২ সালের খানা আয়-ব্যয় জরিপে বলা হয়েছে, দেশের ৩৭.৩ শতাংশ অর্থাৎ এক-তৃতীয়াংশের বেশী পরিবার ঋণগ্রস্ত। তারা ধার দেনা করে চলছে। ক্রমেই ঋণগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েই চলছে।

বিবিএস এর প্রকাশিত তথ্য মতে, ২০১৬ সালে খানা আয়-ব্যয় জরিপে ঋণগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা ছিল ২৯.৭০ শতাংশ। অর্থাৎ বিগত ৬ বছরে ঋণগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা সোয়া ৭ শতাংশীয় পয়েন্ট বেশী বেড়েছে। পাশাপাশি পরিবার প্রতি ধার বা ঋণের পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

২০১৬ সালে পরিবার প্রতি ঋণের পরিমাণ ছিল ৩৭ হাজার ৭শত ৪৩ টাকা। ২০২২ সালে এই ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ৭০ হাজার ৫শত ৬ টাকা দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রকাশিত জরিপে বলা হয়েছে, শহরাঞ্চলের ঋণগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা ৩২.১১ শতাংশ। অপরদিকে গ্রামাঞ্চলে পরিবার প্রতি ঋণের পরিমান ৩৯.৩৫ শতাংশ।

২০২২ সালে ফেব্রæয়ারী মাসে শুরু হওয়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্ব জুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা, দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, ডলার সংকট, মুদ্রা স্ফীতির দরুন মারাত্মক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষত: নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ও খাবারের পিছনে মানুষের ব্যয় বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।

ব্যয়ের তুলনায় মানুষের আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে না। তাছাড়া যাতায়াত, লেখাপড়া, চিকিৎসা, ঔষধপত্র সহ অন্যান্য প্রয়োজন মেটাতেও অধিক অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। তাই বেঁচে থাকার জন্য পরিবারগুলো ব্যাংক ঋণ, ক্রেডিট কার্ড থেকে ঋণ, এনজিও থেকে ঋণ, সমবায়ী ঋণ, মহাজনী ঋণ, গ্রামগঞ্জ ও শহরে গড়ে উঠা দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিতে বাধ্য হচ্ছে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে ঋণগৃহীতারা রাতের আধারে নিজ আবাসস্থল থেকে পালিয়ে যাচ্ছে। অনেকেই আবার বাড়ি, ঘর, গাছপালা, জমি-জমা, সোনাদানা বিক্রি করে দাদন ব্যবসায়ীসহ অন্যান্য ঋণগৃহীতাদের ঋণ পরিশোধ করতে বাধ্য হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর