লালমনিরহাট বার্তা
হাইকোর্টের রিট পিটিশন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত রেলওয়ের সকল প্রকার নিয়োগ বন্ধের দাবি
বার্তা ডেস্ক | ৮ মে, ২০২৪, ১০:১৪ AM
হাইকোর্টের রিট পিটিশন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত রেলওয়ের সকল প্রকার নিয়োগ বন্ধের দাবি

ত্রুটিপূর্ণ রেলওয়ে ক্যাডার বহির্ভূত কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ নিয়ে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে দায়েরকৃত রিট পিটিশন নং—৩৭৭০/২০২৪ এর নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ রেলওয়ের সকল প্রকার নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবিতে আজ ৮ মে ২০২৪ বুধবার দুপুরে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি।

চিঠিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, গত ২২ শে নভেম্বর ২০২০ সালে বাংলাদেশ রেলওয়ে ক্যাডার বহির্ভূত কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ অনুমোদন করা হয়। অনুমোদিত নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ মূলত রেলওয়ে পোষ্য এবং শ্রমিক—কর্মচারীদের অধিকার বঞ্চিত করার এক ঐতিহাসিক দলিল। ষড়যন্ত্রমূলক এই নিয়োগ বিধিমালা রেলওয়ে পোষ্য এবং শ্রমিক—কর্মচারীরা নীতিগত ভাবে মেনে না নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের সকল ট্রেড ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি আন্দোলন—সংগ্রাম গড়ে তোলে এবং রেলওয়ের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী ও পোষ্যদের অধিকার বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্রকারী কালো বিড়াল চক্রের পরামর্শে অনুমোদিত ত্রুটিপূর্ণ সাংঘর্ষিক নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ সংশোধন এর দাবিতে দীর্ঘদিন বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে। গত ৯ নভেম্বর ২০২১ তারিখে নিয়োগ বিধি ২০২০ সংশোধন সহ ৮ দফা দাবিতে তৎকালীন রেলপথ মন্ত্রীকে স্বারকলিপি পেশ করা হয়। গত ২১ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি কর্তৃক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদানের প্রেক্ষিতে ২৭ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালককে আহ্বায়ক করে ১৮ সদস্য বিশিষ্ট নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ হালনাগাদ/সংশোধন করণের জন্য কমিটি গঠিত হয়। কিন্তু গত ২৮ মাসেও কমিটি কর্তৃক নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ সংশোধন না করেই গায়েবী বিধিমালায় সম্পূর্ণ অবৈধভাবে জনবল নিয়োগ কার্যক্রমের মাধ্যমে রেলওয়ে পোষ্যদের অধিকার বঞ্চিত করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে ত্রুটিপূর্ণ নিয়োগ বিধিমালা—২০২০ সংশোধন না করে অবৈধ জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়াকে বৈধতা দিতে প্রতিটি বিজ্ঞপ্তিতে “নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান বিধি—বিধান ও কোটা পদ্ধতি এবং পরবর্তীতে এ সংক্রান্ত বিধি—বিধানে কোন সংশোধন হলে তা অনুসরণযোগ্য হবে” বলে একটি শর্ত যুক্ত করেছে। এই শর্তটি আসলে একটি শুভঙ্করের ফাঁকি। ২৮ মাসেও নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন না করে যে জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে এটি মূলত অসাধু কর্মকর্তাদের নিয়োগ বাণিজ্যের অংশ। নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ সংশোধন প্রক্রিয়া ঝুলিয়ে রেখে একের পর এক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করে রেলওয়েতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার ৩৪২ জন জনবল নিয়োগ করা হয়েছে। নিয়োগ পদ্ধতির ত্রুটির কারণে নিয়োগপ্রাপ্তদের সিংহভাগ চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন।

অধিকার রেলওয়ে কর্মচারী ও পোষ্যদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এবং কর্মচারীবান্ধব নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়নে গত ২৭/০২/২০২৪ইং তারিখে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বাংলাদেশ রেলওরে মহাপরিচালক এবং গত ০৭/০৩/২০২৪ইং তারিখে মাননীয় রেলপথ মন্ত্রী বরাবরে “রেলওয়ে ক্যাডার বহিভুর্ত নিয়োগ বিধিমালা ২০২০” সংশোধনের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি পক্ষ থেকে প্রস্তাবনা দাখিল করা হয়। কিন্তু তারপরেও নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ সংশোধনে কোন সন্তোষজনক পদক্ষেপ না নেওয়ায় জনস্বার্থে বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান মনির বাদী হয়ে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে রিট পিটিশন দায়ের করেন, যার নং—৩৭৭০/২০২৪।

মহামান্য হাইকোর্ট প্রাথমিক শুনানীতে মামলাটিকে আমলে নিয়ে রুল/শোকজ আদেশ প্রদান করে ৪ সপ্তাহের মধ্যে জবাব দাখিলের জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করেন। এমতাবস্থায় মহামান্য হাইকোর্টের আদেশানুযায়ী যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ না করে অর্থাৎ হাইকোর্টের নির্দেশনাকে আমলে না নিয়ে নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ এর আওতায় একের পর এক নিয়োগ কার্যক্রম আইনের প্রতি অবজ্ঞার শামিল।(প্রেস বিজ্ঞপ্তি)

এই বিভাগের আরও খবর