লালমনিরহাট বার্তা
ভারত-বাংলা সীমান্তে ধান পাকলেই হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব শুরু হয়
বার্তা ডেস্ক | ১৫ মে, ২০২৩, ৭:১৩ AM
ভারত-বাংলা সীমান্তে ধান পাকলেই হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব শুরু হয়

ধান কাটার মৌসুম এলেই বন্য হাতির দল ভারত থেকে বাংলাদেশের সিমান্ত এলাকায় চলে আসে। বিশেষ করে ধান যখন কাটার সময় হয়, তখনই কৃষকের পাকা ধান খেতে লোকালয়ে নেমে আসে ভারতীয় বন্য হাতির দল। এতে প্রতিবছরই ঘটে হতাহতের ঘটনা। দীর্ঘ হয় লাশের সংখ্যা। পঙ্গুত্ব বরণ করে অনেকেই।

ঘটনাগুলো ঘটে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার গারো পাহাড়বেষ্টিত সীমান্তবর্তী রাণীশিমুল ও সিংগবরুণা ইউনিয়ন। ভারতের মেঘালয় রাজ্যঘেঁষা এই দুইটি ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন গ্রামে প্রতি বছরই বন্য হাতির দল তাণ্ডব চালায়।

বনবিভাগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ধান কাটার মৌসুম এলেই বন্য হাতির দল ভারত থেকে বাংলাদেশের গারো পাহাড়ে চলে আসে। সীমান্তবর্তী বালিজুড়ী, খাড়ামোড়া, ঝুলগাঁও, মালাকোচা, হালুয়াহাটি, চান্দপাড়া, খ্রিস্টানপাড়া, হাড়িয়াকোনাসহ বিভিন্ন এলাকায় কৃষকদের পাকা ধানখেত ও অন্যান্য ফসলাদি বিনষ্ট করে হাতির দল। ভেঙে ফেলে ঘর-বাড়ি। হাতির আক্রমণ থেকে ঘর-বাড়ি ও ফসল রক্ষা করতে শুরু হয় হাতি-মানুষের দ্বন্দ্ব। এলাকাবাসী লাঠি, মশালসহ বিভিন্ন দেশীয় সরঞ্জামাদি দিয়ে হাতি তাড়াতে চেষ্টা করে। হাতি তাড়াতে গিয়ে বিভিন্ন সময় এলাকার লোকজন নিহত হয়। পঙ্গুত্ব বরণ করে অনেকেই। হাতির আক্রমণ থেকে ধানখেত রক্ষা করতে গিয়ে গত ১৪ এপ্রিল ঝুলগাঁও গ্রামের আব্দুল করিম (২৮) ও ২ মে হাতিবর টিলাপাড়া গ্রামের আব্দুল হামিদ (৫০) নামে দুই কৃষক নিহত হন। প্রতি বছরই হতাহতের ঘটনা ঘটলেও নেই কোনো স্থায়ী সমাধান। স্থানীয়দের দাবি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করলে হাতির আক্রমণ থেকে ফসল ও এলাকাবাসী রক্ষা পাবে।

বালিজুড়ী রেঞ্জ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, ‘অভয়ারণ্য না থাকায় ধান পাকার মৌসুম হলে বন্য হাতির দল লোকালয়ে চলে আসে। বন বিভাগের পক্ষ থেকে আমরা এলাকাবাসীদের সচেতন করারা চেষ্টা করছি। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সহায়তা করা হবে।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইফতেখার ইউনুস ইত্তেফাককে বলেন, হাতি-মানুষের দন্দ্ব নিরসনে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কৃষকসহ এলাকার জনসাধারণকে সচেতন করা হচ্ছে। এছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সহায়তা বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর