ভারতে আরও চারজনের দেহে মাঙ্কিপক্সের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছে। তারা সবাই দিল্লির বাসিন্দা। বুধবার (২৭ জুলাই) এই শনাক্তকরণ হয় বলে জানিয়েছে ডয়েচে ভেলে। করোনার মতো না হলেও, দিল্লিতে ধীরে ধীরে বাড়ছে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। আক্রান্ত রোগীদের রক্তের নমুনা জিনোম সিকুয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হচ্ছে। পাশাপাশি তাদের আলাদা রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভারতে মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত রোগীর খোঁজ প্রথম পাওয়া যায় কেরালায়। তারপর সেখানে আরও কয়েকজন রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। তারা সকলেই বিদেশ থেকে ভারতে এসেছিলেন। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শীর্ষ বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন জানিয়েছেন, এখনই সতর্ক না হলে মাঙ্কিপক্স নিয়ে সমস্যা বাড়তে পারে। ফলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। সৌম্যা জানিয়েছেন, ১৯৭৯-৮০ সালের পর ভারতে আর স্মল পক্সের ভ্যাক্সিন দেওয়া হয়নি। মাঙ্কি পক্স যেভাবে ছড়াতে শুরু করেছে, তাতে টিকাকরণ নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে। প্রয়োজনে আবার ওই টিকা দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, মাঙ্কিপক্স নিয়ে এখনো প্রাথমিক স্তরের গবেষণা চলছে। তবে স্মলপক্সের টিকা যে এই রোগের ক্ষেত্রে কাজ করছে, তা কিছুটা হলেও পরিষ্কার। ফলে পরীক্ষারগুলিতে নতুন করে স্মলপক্সের টিকা প্রস্তুত করা প্রয়োজন। বস্তুত, এর জন্য সিরাম ইনস্টিটিউটকেও উদ্যোগী হওয়ার কথা জানিয়েছেন সৌম্যা। তবে একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, স্মলপক্সের টিকা মাঙ্কিপক্সের ক্ষেত্রে কত দূর কার্যকরী তা এখনো প্রমাণসাপেক্ষ। বিজ্ঞানীরা তা নিয়ে গবেষণা করছেন। চিকিৎসক এবং বিজ্ঞানীরা অবশ্য জানিয়েছেন, মাঙ্কিপক্স করোনার মতো দ্রুত ছড়াতে পারবে না। কিন্তু তাই বলে নতুন এই রোগকে হাল্কা ভাবেও নেওয়া যাবে না।(সূত্রঃ ইত্তেফাক)