লালমনিরহাট বার্তা
সাত দশকেও আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি রেলের কমলাপুর বগি ওয়ার্কপে
বার্তা অনলাইন ডেস্কঃ | ২৫ আগ, ২০২১, ৫:৪৬ AM
সাত দশকেও   আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি রেলের কমলাপুর বগি ওয়ার্কপে
প্রতিদিন ট্রেনের অন্তত ৩০ থেকে ৪০টি বগি মেরামতের জন্য আনা হয় কমলাপুর ওয়ার্কশপে। সাত দশকেও এখানে লাগেনি আধুনিকতার ছোঁয়া। এখনও পুরনো যন্ত্রপাতি আর দেশীয় পদ্ধতিতেই চলছে কাজ। প্রয়োজনীয় লোকবলের আছে মাত্র এক-তৃতীয়াংশ। ফলে দিনরাত পরিশ্রম করে ট্রেনের চাকা সচল রাখছেন এখানকার মেকানিকরা।
সাত দশকেও বড় ধরনের ত্রুটি মেরামতের সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি রেলের কমলাপুর বগি ওয়ার্কশপ। লোকবল সংকট, আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাব ও বাজেট ঘাটতির কারণে ধুঁকে ধুঁকে চলছে রেলের অন্যতম এই ওয়ার্কশপটি। সময়মতো কাজ শেষ করতে না পারার কারণে মাঝে মধ্যেই ঘটছে শিডিউল বিপর্যয়। তবে এমন সংকট সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন রেলমন্ত্রীর।
ওয়ার্কশপের সিনিয়র এক মেকানিক জানান, তারা যখন চাকরিতে প্রবেশ করেছেন তখন ওয়ার্কশপটিতে দিনে বগি আসত ৭-৮টি। বর্তমানে ওয়ার্কশপটিতে দিনে ২৮টির মতো বগি মেরামত করা হলেও লোকবল রয়েছে সেই আগের মতোই।
সিনিয়র আরেক মেকানিক বলেন, ওয়ার্কশপে যে লোকজন ছিল তাদের অনেকেই চলে গেছে। এখন আমরা কয়েকজন পুরাতন মেকানিক রয়েছি যারা কয়েকজন টেইনার নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
দক্ষ কর্মীদের ৯০ ভাগ ইতোমধ্যেই অবসরে, দুই-তিন বছরের মধ্যে বাকি পুরনো কর্মীরাও অবসরে যাবেন। কিন্ত দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে নিয়োগ, বসেনি একটিও আধুনিক যন্ত্র। ফলে দিন দিন ভোগান্তি বাড়ছে শ্রমিকদের।
কমলাপুরের এই ওয়ার্কশপটির জুনিয়র এক মেকানিক বলেন, এখানে যে কাজ করা হয়, তা শারীরিক পরিশ্রমের মাধ্যমেই করা হয়। মেশিনের কোন কাজ নেই, সব হাতেই করা হয়। অত্যাধুনিক কিছু মেশিন ও যন্ত্রপাতি দরকার যেগুলো এখানে নেই।
নতুন বগির রক্ষণাবেক্ষণ আর পুরনো বগির মেরামত সবই করতে হয় স্বল্প সংখ্যক এই মেকানিকদের ফলে সময়মতো কাজ শেষ করতে না পারায় মাঝে মধ্যে ঘটছে শিডিউল বিপর্যয়। লোকবল নিয়োগের দাবি শ্রমিকদের।
ওয়ার্কশপের কর্মীরা বলছেন, একদিনের মেরামতের কাজ আরেকদিন করতে হচ্ছে। জনবলের অভাবে আমরা এখানে মেরামতের কাজ ঠিকমতো করতে পারছি না, এতে করে ট্রেনের শিডিউল ঠিক রাখা সম্ভব হয় না।
ওয়ার্কশপটিকে আধুনিকায়নের সব প্রকল্প নেয়া হয়েছে বলে জানান রেলমন্ত্রী।
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, খুবই অল্প দিনের মধ্যেই আমরা যে যে পদে জনবল ঘাটতি রয়েছে সেগুলো পূরণের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেব। জনবলের যে ঘাটতি রয়েছে তা আমরা পর্যায়ক্রমে পূরণ করব। শুধু এখানেই নয় রেলের সব সেক্টরেই ঘাটতি রয়েছে লোকবলের।
সত্তর বছরের পুরাতন পদ্ধতিতে এখনও চলছে কমলাপুরের রেলের ওয়ার্কশপটি। সেখানে কর্মরত বলছেন, আধুনিক যন্ত্রপাতি ও লোকবল দেওয়া হলে একটু হলেও গতি ফিরবে ট্রেনের চাকায়। (সুত্রঃ সময় সংবাদ)
এই বিভাগের আরও খবর