রংপুর নগরীর আলমনগর এলাকায় র্যাব-১৩র কার্যালয়ের এক চিলতি উঠান এখন সবুজের সমারোহ।নানান জাতের সবব্জিতে সাজানো হয়েয়েছে কৃষকের বাগানে।যে কোন ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের লোকজন র্যাবের সবজি বাগান দেখে অনুপ্রাণিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈশ্বিক খাদ্য সংকট মোকাবিলায় দেশের জনগণকে প্রতি ইঞ্চি জমি চাষ-আবাদ করার আহবান জানিয়েছেন।প্রধানমন্ত্রীর আহবানে অনুপ্রাণিত হয়ে র্যব-১৩ এর অধিনায়ক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন কৃষি খামারের। নানা রকমের ফলদ ও বনজ গাছের স্নিগ্ধতায় ভিন্ন এক আবহ বিরাজ করছে র্যাব কার্যালয়ে।
র্যাব কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ষড়ঋতু সব সবজিতে ভরপুর আঙ্গিনা। সকল র্যাব সদস্যদের সাথে নিয়ে ফাঁকা পরিত্যক্ত পতিত জায়গায় গড়ে তোলা হয়েছে এই বাগান।শাকের রাজা পুই থেকে আরাম্ভ করে লাল শাক, ডাটা শাক, কলমি শাক, পাট শাক সহ বিভিন্ন প্রকারের কৃষি শাকের আবাদ করা হয়েছে। সবজির মধ্যে বরবটি লাউ, কুমড়া, চিচিংগা, শশা, বেগুন, খাচা মরিচ, পুদিনার সৌরভ ছড়াচ্ছে। আ¤্রপলি -বাতাবি লেবুর গ্রাণ যে কাউকে মুগ্ধ করবে। শুধু শাক-সবজিই।এছাড়ও গবাদি পশু ভেড়া, হাস, মুরগি, কবুতর পালন করা হচ্ছে। ৯টি ভেড়া, ১৫টি হাস, দেমি মুরগির কক শব্দ যে যেকোন পথিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।
রংপুর র্যাব -১৩ অধিনায়ক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, ষড়ঋতুর এই বাংলাদেশে প্রতিটি ঋতুরই আছে বৈচিত্রের স্বতন্ত্র রূপ।সহজেই দৃষ্টিগোচর হয় এর বৈচিত্রতা। মাটির উর্বরতার কারণে যেখানে সেখানে হয় গাছগাছালি।প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুয়ায়ি এক ইঞ্চি জমিও যাতে খালি না থাকে সে জন্য পতিত জমিতে চাষাবাদ করছি। এতে আমাদের নিজেদের চাহিদা মিটছে। সেই সাথে আর্থিক সাশ্রয় হচ্ছে।
রংপুর র্যাব ১৩ রংপুরের সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ বলেন, অবসরে ক্যাম্পের সবাই মেতে উঠি বাগান ও মিনি চিড়িখানায়। এখানে রয়েছে নানা জাতের কবুতর, চিনা হাঁস, পাতি হাঁস এছাড়াও রয়েছে ভেড়ার পাল। আমরাই দেখাশুনা করি যে যখন সময় পাই।এখানে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি পালন করা হয়।সবকিছুই হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায়।
র্যাব ১৩ এর অধিনায়ক আরাফাত ইসলাম বলেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মূলত প্রতি ইঞ্চি জমিতে আবাদ করার বিষয়ের ধারণাটি পেয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭৪ সালের সবুজ বিপ্লবের ডাক থেকে। আমরা আমাদের এই ক্ষুদ্রতম জায়গা থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছি।
