চীনে নতুন করে কোভিডের প্রকোপ। ভারতের সমস্ত হাসপাতালে শুরু হয়েছে একদিনের কোভিড ড্রিল। চীনে করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট মিলেছে। ভারতের বিমানবন্দরে বেশ কিছু ব্যক্তির দেহে কোভিডের নতুন প্রজাতির ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। তারপরেই তৎপর হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। পশ্চিমবঙ্গ থেকে কেরালা, তামিলনাড়ু থেকে দিল্লি সর্বত্রই চলছে কোভিড ড্রিল।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশজুড়ে সরকারি হাসপাতালগুলিতে শুরু হয়েছে কোভিড ড্রিল। নতুন করে কোভিডের সংক্রমণ বাড়লে কীভাবে তার মোকাবিলা করা হবে, তা বুঝতেই এই ড্রিল বলে জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশের হাসপাতালগুলিতে ভয়াবহ অব্যবস্থার ছবি দেখা গেছিল। ফের যাতে তা না হয়, তার জন্যই এই ড্রিলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থমন্ত্রী মনশুখ মান্ডাভিয়া নিজে আছেন দিল্লির সাফদরজঙ্গ হাসপাতালে। তিনি বলেছেন, ‘কোভিডের প্রকোপ বাড়লে হাসপাতালগুলি যাতে তৈরি থাকে, তার জন্যই এই ড্রিলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

দিল্লির হাসপাতালগুলির আসনসংখ্যা, আইসিইউ বেডের সংখ্যা, অক্সিজেন বেডের সংখ্যা এই সমস্ত তথ্য মঙ্গলবার থেকে সাধারণ মানুষের জন্য খুলে খুলে দেওয়া হবে। অনলাইনে দেখে নেওয়া যাবে কোন হাসপাতাল ফাঁকা আছে।

কোভিডের প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ে যে কোভিড যোদ্ধাদের তৈরি করা হয়েছিল, নতুন করে তাদের ড্রিলে নিয়ে আসা হচ্ছে বলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দাবি করেছে। দিল্লির হাসপাতালগুলিকে আগেই ১০৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। ওই টাকায় প্রয়োজনীয় ওষুধ আগে থেকেই কিনে রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে। কর্ণাটকে হাসপাতাল এবং শিক্ষাকেন্দ্রগুলিতে ফের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বার এবং রেস্তোরাঁয় দুইটি কোভিডের টিকার সার্টিফিকেট দেখাতে হবে।

তামিলনাড়ুতে ভিড়ের জায়গায় মাস্ক পরা বাধঅযতামূলক করা হয়েছে। নতুন বছরের উৎসবে ভিড় এড়িয়ে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গ সরকার জানিয়েছে, ছয়টি পর্যায়ে তারা কোভিড মোকাবিলার ব্যবস্থা করেছে। কোভিড পরীক্ষা বাড়ানো হচ্ছে। জিনোম পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অক্সিজেনের চাহিদা মেটানোর জন্য অতিরিক্ত অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রস্তুত রাখা হচ্ছে।

ভারতে চলতি মাসে কোভিড শূন্যে গিয়ে ঠেকেছিল। কিন্তু গত এক সপ্তাহে ফের তা বাড়তে শুরু করেছে। চীনের নতুন ভেরিয়েন্ট দেশে ঢুকে পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সে কারণেই অতিরিক্ত সতর্ক থাকছে সরকার। (সূত্রঃ ইত্তেফাক)