তিন দিনের প্রতিরোধ হামলায় প্রায় ৪০ জন মিয়ানমার জান্তা বাহিনীর সেনা নিহত হয়েছেন। দেশটির একাধিক এলাকায় বিদ্রোহী পিপল’স ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) এবং এথনিক আর্মড অর্গানাইজেশনসের (ইএও) সদস্যদের হামলায় জান্তা সেনারা প্রাণ হারিয়েছেন। মায়ানমার নাও এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।থাইল্যান্ড-ভিত্তিক মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারের সাগাইন, মগউই, বাগো, ইয়াঙ্গুন ও তানিনথারি অঞ্চল ও দেশটির চিন, কারেন ও মন রাজ্যের বিভিন্ন আক্রমণের ঘটনায় ৪০ জন জান্তা সেনা মারা গেছেন।
তবে জান্তা বাহিনীর সেনারা ম্যাগওয়ে ও সাগাইং অঞ্চলের একাধিক গ্রামে তাদের অভিযানের সময় লুটপাট করে ও বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয় বলে জানা গেছে।
মিয়ানমারের চিন রাজ্যে স্থানীয় বিদ্রোহীগোষ্ঠী চিনল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্সের আক্রমণে জান্তা বাহিনীর একটি সামরিক হেলিকপ্টার ধ্বংস হয়েছে। রোববার (১৬ অক্টোবর) চিন রাজ্যের কানপেতলেত শহরে এই ঘটনা ঘটে।
পাশাপাশি মন রাজ্যে পিডিএফ বিদ্রোহীদের পাতা ফাঁদে অন্তত ১০ জান্তা সেনা নিহত হয়েছেন। পিডিএফ দাবি করেছে, রোববার ইয়ে শহর থেকে জান্তা সেনাদের একটি ফ্লিট যখন থানপায়ু জায়াত শহরের দিকে যাচ্ছিল তখন পথের মধ্যে তাদের আক্রমণে ১০ জান্তা সেনার মৃত্যু হয়।
এদিকে, তানিনথারি এলাকায় পিডিএফ সেনাদের পাতা আরেকটি ফাঁদে আরও অন্তত ১৫ জান্তা সেনার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) তানিনথারির ৬টি বিদ্রোহী গোষ্ঠী মিলে এই আক্রমণটি করেছিল।
বিদ্রোহীরা জানিয়েছেন, প্রায় ১০০ জান্তা সেনার একটি ফ্লিট ঘটনাস্থলের পাশের একটি গ্রাম থেকে আরেকটি গ্রামে যাচ্ছিল। এই সময় আক্রমণে ১০ সেনা প্রাণ হারালেও বাকিরা পালিয়ে যায়। অপরদিকে, শনিবারে (১৫ অক্টোবর) সাগাইনের চৌঙ-উ শহরে বিদ্রোহীদের হামলায় আরও অন্তত ৬ জান্তা সেনা নিহত হয়েছেন।
