লালমনিরহাট বার্তা
বাংলাদেশে বাড়ছে অপ্রয়োজনীয় সি-সেকশন
ভয়েস অফ আমেরিকা | ৬ জুল, ২০২৩, ৪:৪৬ AM
বাংলাদেশে বাড়ছে অপ্রয়োজনীয় সি-সেকশন

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার বা সিজারিয়ান-সেকশন ডেলিভারির মাধ্যমে জন্মদানের সংখ্যা আশংকাজনক হারে বাড়তে শুরু করেছে। এ বছর জুনের ১০ তারিখ ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে সি-সেকশনের সময় একটি নবজাতক ও ভুল চিকিৎসায় আটদিন পরে তার মায়ের মৃত্যুর পর নতুন করে অপ্রয়োজনীয় সি-সেকশন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

ঢাকা সেন্ট্রাল হাসপাতালে সিজার চলাকালীন যে বাচ্চা মারা গিয়েছিলো এই নিয়ে ইতোমধ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সরকার পৃথকভাবে তদন্ত শুরু করেছে।

গত ১০ জুনের পর সে হাসপাতালের দুইজন মহিলা চিকিৎসক মুনা সাহা ও ডা. শাহজাদী মুস্তার্শিদা সুলতানার গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। তদন্ত রিপোর্ট এখনো প্রকাশ না পাওয়ায় সেখানকার চিকিৎসক বা সেবিকাদের দায়িত্ব নির্ধারণ করা যায়নি। ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারি কর্তৃপক্ষের কাছে বিচার চাওয়া হয়েছে । ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু হয়েছে।

নবজাতক ও মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় চিকিৎসক মাকসুদা ফরিদা আক্তার মিলিকে চার সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ।

গত ১০ জুন তারিখে বাচ্চার মৃত্যু এবং তার পরবর্তীতে 'ভুল চিকিৎসা'র কারণে ১৮ জুন মৃত্যুবরণ করা মাহবুবা রহমানের স্বামী ইয়াকুব আলী সুমন ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলাকে বলেন, ফেসবুকে প্রফেসর সংযুক্তা সাহার “ব্যথামুক্ত নরমাল ডেলিভারি” বিষয়ক ভিডিও দেখে তারা ওই ডাক্তারের কাছে প্রসবপুর্ব চিকিৎসা সেবা ও ডেলিভারি করাবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন। সেই হিসাবে কয়েক ধাপে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেন। ৯ জুন রাতে প্রসব বেদনা বাড়তে থাকলে, সংযুক্তা সাহার সহকারীকে জানিয়ে তারা হাসপাতালে ঐ চিকিৎসকের অধীনে ভর্তি নেন। কিন্তু তিনি সেখানে সংযুক্তা সাহাকে পাননি। বরং জনাব ইয়াকুব জানান, তার অনুমতি না নিয়েই সংযুক্তা সাহার টিমের সদস্য ডা. মুনা সাহা ও ডা. শাহজাদী মুস্তার্শিদা সুলতানা সিজারিয়ান ডেলিভারির নামে প্রথমে তার সন্তানকে ও পরবর্তীতে স্ত্রীকে 'হত্যা' করেছে।

আর সংযুক্তা সাহা তার সাথে 'প্রতারণা'র আশ্রয় নিয়েছেন। সংযুক্তা সাহা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কয়েকজন সাংবাদিককে ডেকে ২০ জুন তিনি দাবি করেছেন, ঘটনার দিন তিনি দেশেই ছিলেন না।

সেন্ট্রাল হসপিটাল লিমিটেডের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার মামুন রশিদ রাসেল ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন একটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে যার প্রতিবেদন সহসা পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে তদন্তের স্বার্থে চিকিৎসক ১১ জনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ইয়াকুব আলীর মামলায় ডা. মুনা সাহা ও ডা. শাহজাদী মুস্তার্শিদা সুলতানা এখন জেলে আছেন।

পুলিশের কাছে অভিযোগের পাশাপাশি ইয়াকুব আলী বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল এর কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। সেই সাথে চিকিৎসক সংযুক্তা সাহার চিকিৎসা সনদ বাতিলের দাবি ও হাসপাতালের নিবন্ধনও বাতিলেরও দাবি করেছেন ইয়াকুব আলী।

পেশায় শিক্ষক ইয়াকুব আলী সরকারের কাছে দাবি করেছেন, আর এ ধরনের কোন 'হত্যাকাণ্ড' যাতে না ঘটে সেজন্য হাসপাতালগুলোতে আলাদা মনিটরিং সেল গঠন করতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী ১০ থেকে ১৫ শতাংশ সি-সেকশন এর মাধ্যমে হতে পারে তবে ২০২১ সালে ডাব্লুউ এইচ ও. বলছে দেখা যাচ্ছে যে এই জন্মহার ২১ শতাংশ থেকে বাড়তে শুরু করেছে এবং অনেক দেশে এক-তৃতীয়াংশ সিজারিয়ান নিয়ে আবার নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। এ কত শতাংশ অপ্রয়োজনীয় তা নিরূপণ করার কোন ব্যবস্হা কার্যত নেই।

বাংলাদেশে স্টপ আননেসেসারি সি-সেকশন বা বন্ধ হোক অযথা সি-সেকশন নামে একটি ক্যাম্পাইন বেশ কয়েক বছর ধরে পরিচালনা করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ইশতিয়াক মান্নান। ভয়েস অফ আমেরিকাকে তিনি বলছিলেন, সরকারের বেসরকারি হাসপাতাল গুলোর উপরে কার্যত কোন নজরদারি নাই।

"এমনকি একজন চিকিৎসক কি অবস্থায় সি-সেকশনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তার নিয়মিত, পূর্ণাঙ্গ, বিধিবদ্ধ তথ্য সংরক্ষন ও সরকারকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে প্রদানের বাধ্যবাধকতা নাই।"

তিনি বলেন, "স্বাস্থ্য সেবা আলু পটলের মতো সাধারণ পণ্য নয়। এই সেবার ক্ষেত্রে ক্রেতার (প্রসূতি মা ও পরিবার) চাইতে বিক্রেতার (চিকিৎসক ও ক্লিনিক মালিক) কারিগরি, পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রদানের ও নৈতিক দায়বদ্ধতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।"

যুক্তরাষ্ট্রের দাতা সংস্থা ইউএসএইড এর অর্থায়নে জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সর্বশেষ ডেমোগ্রাফিক এন্ড হেল্প সার্ভে ২০২২ বলছে, জরিপে বাংলাদেশে ২০২২ সালের আগে দুই বছরে জন্ম নেওয়া ৩, ৬৯৬ শিশুদের ৪৫ শতাংশ সি সেকশন বা সিজারিয়ান সেকশন এর মাধ্যমে । এ জরিপে দেখা যায় গড়ে ৪২ শতাংশ ডেলিভারি বেসরকারি হাসপাতালে হয়। গড়ে ৩৮ শতাংশ বাড়িতে, গড়ে ১৭.৬ শতাংশ হাসপাতালে, এবং গড়ে ১.৫ শতাংশ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা তত্বাবধানে জন্মলাভ করে। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেলিভারি করতে আসা প্রায় ৬০ শতাংশ নারী উচ্চমাধ্যমিক বা তার বেশি শিক্ষায় শিক্ষিত এবং ৬৭ শতাংশ আর্থিক সামর্থ্যবান।

এই জরিপ বলছে ২০১১ সালে ১৮ শতাংশ সি সেকশন থেকে তা বেড়ে ২০২২ সালে ৪৫ শতাংশে উন্নিত হয়েছে। যা ২০১৭-১৮ সালের রিপোর্টে কেবল ছিল ৩৪ শতাংশ।

".....উচ্চ আদালতের কাছে যে সুরক্ষা চাওয়া হয়েছে, তার ফলে সরকার প্রায় তিন বছর আগে একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা জমা দিয়েছেন। এই কর্মপরিকল্পনার কর্মসূচীগুলোকে দেশব্যাপী বাস্তবায়ন করতে হবে এবং উল্লিখিত মানদণ্ডগুলো যতক্ষণ, প্রয়োজনীয় আইন ও বিধিমালার মাধ্যমে সকলের জন্য বাধ্যতামূলক না করা হবে ততক্ষন এটি একটি লোক দেখানো কাগুজে পরিকল্পনাই থেকে যাবে," বলেন ইশতিয়াক।

জনস্বার্থমূলক রিট

জুন ৩০, ২০১৯, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)-এর করা এক জনস্বার্থমূলক রিটের পরে সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচার (সিজারিয়ান) বন্ধে নীতিমালা তৈরি করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের বেঞ্চ ।

সেবছরই ডিসেম্বরে একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা জমা দেয় সরকার। কোভিড আসায় সব কিছু পিছিয়ে যায়, জানালেন ইশতিয়াক।

সেসময় আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রাসনা ইমাম।

ব্যারিস্টার রাসনা ইমাম বলছেন, “যখন প্রাকৃতিক নিয়মে সন্তান প্রসব সম্ভব হয় না, অথবা মা বা শিশুর জীবন ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি হতে পারে– সেসব ক্ষেত্রে মা বা শিশুর জীবন বাঁচাতে অথবা ভ্রূণের অস্বাভাবিকতার ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি ব্যবহার করার কথা। কিন্তু গত কয়েক দশকে দেশে সি-সেকশনের মাধ্যমে সন্তান জন্মদানের হার বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ রয়েছে নানা জায়গায়। আসলে অনেক গুলো কারন আমরা বের করে ছিলাম । তার মধ্যে একটা হচ্ছে বেসরকারি হাসপাতালের ইনকাম উৎস। কোন কোন পরিস্থিতিতে সি-সেকশন করা যাবে, সে বিষয়েও দিক নির্দেশনা রাখা হয়েছে ওই খসড়া নীতিমালায়। একটা বড় বিষয় হচ্ছে আপনি কি ধরনের ব্যাকগ্ৰাউন্ড থেকে গিয়েছেন সব কিছু বিবেচনা করে তারা ট্রিটমেন্ট পাও সেভাবেই দেই ,অথচ এটা হওয়ার কথায় না , আবার তারা ব্যাখাও করতে রাজি না রোগের ঔষধ গুলো কিভাবে কি করতে হবে,অথচ উন্নত দেশে সামান্য স্যাভলন দিলেও বলে দেয় কোথায়, কিভাবে ব্যবহার করতে হবে বলে দেয়।এই জায়গাটাই জবাবদিহিতার অভাব সৃষ্টি হচ্ছে। এবং আমরা সবাই জানি , মা বা শিশুর জীবন রক্ষার্থে এটা করা । কিন্তু দেখা যাচ্ছে যেহেতু ৩১%এ এসে এটা দাড়িয়েছে তার মানে অপ্রয়োজনীয় কারণ গুলো বেশি হচ্ছিল । কিন্তু কারন গুলোর মধ্যে একটা ছিল সুনির্দিষ্ট কোনো আইন বা অবকাঠামো নাই যেখানে মাতৃত্বের সাস্থ্য নিয়ে সুরক্ষিত থাকবে কেউ। এটা একটা কারন ছিল,তবে আমরা মনে করি যে ,একজন মায়ের মাধ্যমে এই বার্তাটা আইনের কাছে পৌঁছানো যায়। ততদিন না পর্যন্ত সঠিক বিষয়ে আইন প্রনয়ন করা না হয়। আসলে এই কারণেই মামলাটা করা কিছু বৈধ আইনের মাধ্যমে।"

সরকার কী বলছে

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালিককে ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার আবুল বাশার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, "মাতৃমৃত্যুর হার কমানোর জন্য প্রথম কথা হচ্ছে যে, এ্যান্টিনেন্টাল চেকআপ (প্রসবপূর্ব পরীক্ষা) এবং পরবর্তীতে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী হাসপাতাল বা ইন্সটিটিউটে ডেলিভারি করা। এটা হচ্ছে গিয়ে প্রথম শর্ত। সরকার, এই লক্ষ্যে আমাদের প্রত্যেকটা উপজেলাতে এই ব্যবস্থা করেছে।"

তিনি আরও বলেন, “প্রাইভেট ইন্সটিটিউশনগুলাতে আমাদের এতো নজরদারি নেই, এজন্য বেশি হচ্ছে। এটা পুরোপুরি সত্য নয়, আবার অস্বীকারও করা যাবে না, কারণ হচ্ছে যে আমাদের তো এরকম জনবল বা কাঠামো নাই, যে দেশে যতো মেডিকেল আছে আমরা সেগুলো নজরদারি করতে পারি।"

“থাকলেও আমাদের কোনো ম্যাজিট্রেসি নাই, যে আমাদের কেউ একটা অন্যায় করলো সেই পাওয়ার খাটাবো, সরকারতো আমাদের সেই পাওয়ার দেয়নি। আমারা এইখানে কি করতে পারি? ম্যাক্সিমাম সেখানটায় গিয়ে আমরা বন্ধ করে দিয়ে আসতে পারি বা তাদেরকে জানলে, দেখলে পরে আমরা সেটার বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিতে পারি, এতটুকুই। কিন্তু যেই সময় সিজারিয়ানটা হচ্ছে, সেই সময় সেখানে উপস্থিত থেকে এটাকে জাস্টিফাই করবে কে? জাস্টিফাই করার মতো আমাদের সক্ষমতা নাই। সেজন্য হয়তো হতে পারে।"

তিনি বলেন, "দ্বিতীয় আরেকটা হচ্ছে যে, প্রাইভেটে কারা যায়, প্রাইভেটে তারাই যায়, যাদের টাকা পয়সা খরচ করার মতো অ্যাবিলিটি আছে…তারা যখন প্রাইভেটে যায়, তাদের লোকেরা যেটা চায়, আমরা এরকমও জানি রোগীরাই কিন্তু সিজারিয়ান চায়। এইটার সংখ্যাও কিন্তু কম না। তাই একচেটিয়া ভাবে বললেও কিন্তু হবে না।"

জনাব খোরশেদ আলম বলেন, "তবে এটা ঠিক, আমাদের কমিউনিটিতে বা আমাদের জনসাধারণের মধ্যে যে সচেতনতা টা দরকার। দেশে এ্যান্টিনেন্টাল কেয়ার দেওয়ার জন্য এখন ১৪ হাজার ২০০ কমিউনিটি ক্লিনিক আছে।"

“সেইখানে তো আমাদের লোকদের যেতে হবে। যাচ্ছে কখন? যখন ঝামেলা হয়ে যাচ্ছে। ঝামেলা যখন হবে তখন সরকারিতে যাক কিংবা প্রাইভেটে যাক ঝামেলার জন্য সিজারের কথাই বলছে। এখন এর মধ্যে যে কিছু ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য নাই, সেটাও আমি বলবো না। নিশ্চই কিছু আছে কিন্তু এটাতো নৈতিকতার ব্যাপার," খোরশেদ আলমের যুক্তি।…যারা সেন্সিবল ডাক্তার তারা কিন্তু রিস্ক নিতে চায় না। রোগী খারাপ, বাচ্চা যদি মারা যায় বা পেশেন্ট যদি মারা যায়, তাহলে তাদের উপর হামলা হবে। তখন তারা রেফার করে দেয়। এই রেফারের যে ট্রায়ালটা এটা প্রাইমারি থেকে সেকেন্ডারি, সেকেন্ডারি থেকে টারশিয়ারি যেতে যেতে রোগী আরও খারাপ অবস্থায় চলে যায়। যারা ব্যবসা করছেন এটা নিয়ে, যে ডাক্তার দেখলেন বা যিনি অপারেশনটা করবেন তারা সেটা সিদ্ধান্ত নেবেন। এই নৈতিক জায়গাটা তো আমরা আইন দিয়ে কন্ট্রোল করতে পারবোনা। আমরা এই বারের প্ল্যান যেটা করেছি, সেইটা আমরা দিয়েছি যে, প্রাইমারী হেলথ কেয়ারের অপারেশন প্ল্যানে এই ম্যাটারনিটির একটা বড় অংশ l আমরা এখানে নিয়ে আসতে পরামর্শ দিয়েছি। এখন এইগুলা যখন ইমপ্লিমেন্ট হবে তখন নিশ্চয়ই নতুন করে কাজ হবে।"

এই বিভাগের আরও খবর