লালমনিরহাট বার্তা
বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ: নির্বাচন কমিশন সচিব
ভয়েস অফ আমেরিকা | ১৮ অক্টো, ২০২৩, ৫:২৫ AM
বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ: নির্বাচন কমিশন সচিব

বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন যে দেশে শান্তিপূর্ণ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিরাজমান। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সম্প্রীতি বাংলাদেশ-এর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বৈঠকে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বাধীনতাবিরোধীরা যাতে অংশ নিতে না পারে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ইসির কাছে দাবি জানায় সম্প্রীতি বাংলাদেশ। সংগঠনটির নেতারা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করারও দাবি জানান।

নির্বাচনে সম্ভাব্য সহিংসতা নিয়ে সংখ্যালঘুদের উদ্বেগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, ইসি সচিব বলেন, “যাদের এ ধরনের আশঙ্কা আছে, তারাই তাদের কথা বলতে পারেন। কমিশন জোর দিয়ে বলতে চায় যে তাদের দৃষ্টিতে বাংলাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমানে শান্তিপূর্ণ রয়েছে।”

“কমিশন মনে করে এখনো কোনো উদ্বেগের পরিস্থিতি নেই” জানান ইসি সচিব। বলেন, “পরবর্তী সময়ে এমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।”

বৈঠকে সম্প্রীতি বাংলাদেশ-এর নেতারা নির্বাচন কমিশনের কাছে চারটি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে; ধর্মভিত্তিক অপপ্রচার ও সাম্প্রদায়িক উস্কানি বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ; আসন্ন নির্বাচনে স্বাধীনতাবিরোধীদের অংশগ্রহণ রোধে কার্যকর ভূমিকা নেয়া; ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও সাধারণ ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সংখ্যালঘু নিপীড়নের ঝুঁকিতে থাকা এলাকা চিহ্নিত করা ও প্রাক-নির্বাচন, নির্বাচনকালীন ও নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা প্রতিরোধে পর্যাপ্ত, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেয়। সম্প্রীতি বাংলাদেশ-এর সভাপতি পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেয়। ইসির পক্ষ থেকে কয়েকজন কমিশনার, ইসি সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।

সম্প্রীতি বাংলাদেশের সভাপতি পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা নির্বাচন কমিশন-কে জানিয়েছি, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ও একাত্তরের পরাজিত শক্তি যেন আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নেয়।” একই সঙ্গে, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।

পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা বাংলাদেশে ২০০১ সালের মতো একটি কালো অক্টোবর দেখতে চাই না; যে ভয়াবহতা ও নৃশংসতা আমাদের শুধুমাত্র ১৯৭১ এর কথা মনে করিয়ে দেয়। আমরা বাংলাদেশ থেকে এই ধরনের নৃশংসতা চিরতরে দূর করতে চাই। আর, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে, তাদের সরকারে দেখতে চাই না আমরা।”

এই বিভাগের আরও খবর