লালমনিরহাট বার্তা
দহগ্রামে বন্যায় ১ হাজার পরিবার পানিবন্দী
স্টাফ রিপোর্টার | ১৩ জুল, ২০২৩, ২:৫৭ PM
দহগ্রামে বন্যায় ১ হাজার পরিবার পানিবন্দী

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নে তিস্তা নদীর বন্যায় ১ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পরেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) দুপুর হতে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা দেখা দেয়। বন্যায় এ ইউনিয়নের ৫ টি ওয়ার্ডের অনন্ত ২০ টি এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে।

সরেজমিনে বৃহস্পতিবার সন্ধা সাড়ে ৬ টা পর্যন্ত বন্যায় প্লাবিত দহগ্রামের একাধিক এলাকা ঘুরে দেখা হয়। উজান থেকে নেমে আসা তিস্তা নদীর ঢলে বেলা ১২ টা হতে ৬ ঘন্টার মধ্যে প্রায় ৩ থেকে ৪ ফুট পানি বৃদ্ধি পায়। তিস্তা নদী ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি মহকুমার ধাপড়া, মেখলিগঞ্জ, হলদিবাড়ি এলাকা হয়ে বাংলাদেশের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের দক্ষিণ অংশ জুড়ে প্রবাহিত। তিস্তার পানিতে এ ইউনিয়নের ১, ৪, ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বন্যা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। ২০ টি গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। প্রায় এক হাজার একর আমন ধান খেত বন্যায় তলিয়ে গেছে। বন্যায় দহগ্রামের ১ নং ওয়ার্ডের সৃষ্টিয়ারপাড় এলাকার সাকোয়া নদীর উপর নির্মিত সেতুর দুই দিকের সংযোগ সড়ক, ৪ নং ওয়ার্ডের পশ্চিমবাড়ী মহিমপাড়া এলাকার কালভার্ট ভেঙে গেছে। ৪ ও ৬ নং ওয়ার্ডের বঙ্গেরবাড়ী হতে নতুনহাট এলাকায় সাকোয়া নদীর উপর নির্মিত সেতুটি ঝুকিপূর্ণ রেলিং ভেঙে গেছে। ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড সংযুক্ত এলাকার কাজীপাড়া-মমিনপুর মাদ্রাসা এলাকার সাকোয়া নদীর উপর সেতুটির দুই দিকের সংযোগ সড়ক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দহগ্রামের গুচ্ছগ্রাম সড়কের সেতুর দুই দিকের সংযোগ সড়ক ভেঙ্গে গেছে। পানিবন্দী পরিবার গুলো শিশু, বৃদ্ধ, গৃহপালিত পশু নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছে।

দহগ্রামের ৮ নম্বর ইউনিয়নের পানিবন্দী পরিবারের আমেনা বেগম (৪০) বলেন, ‘বসতবাড়ির ৩ ঘরসহ রান্না ঘরে পানি উঠেছে। রাতে রান্না করে খাওয়ার উপায় নাই। সমস্যায় আছি। কয়েকবছর আগে তিস্তা নদীতে চাষাবাদ ও বসবাসের জমি বিলীন হওয়ায় বর্তমানে অন্যের জমিতে বসবাস করছি।’

দহগ্রাম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বন্যায় এলাকার বাড়ি-ঘর, রাস্তা-ঘাট, ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। অনেক পরিবার পানিবন্দী হয়ে আছে।’

দহগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বন্যায় ৫ ওয়ার্ডের এক হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দী হয়ে আছে। বন্যায় গুচ্ছগ্রামে চলাচলের রাস্তা, সেতু ভেঙ্গে গেছে। আমি জেলা প্রশাসককে জানিয়েছি।’

এই বিভাগের আরও খবর