লালমনিরহাট বার্তা
ক্ষমতার সময় শেষ, এবার পদত্যাগ করুন: সরকারের প্রতি মির্জা ফখরুল
ভয়েস অফ আমেরিকা | ১৫ জুল, ২০২৩, ৪:৪৪ AM
ক্ষমতার সময় শেষ, এবার পদত্যাগ করুন: সরকারের প্রতি মির্জা ফখরুল

অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ দাবি করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেছেন, তাদের ক্ষমতায় থাকার সময় শেষ হয়েছে। শুক্রবার (১৪ জুলাই) বিকেলে নোয়াখালীর শহীদ বুলু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তিনি একথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “এখন আর সময় নেই। তাদের সময় শেষ। আমি আগেও এটা পরিষ্কার করে বলেছি এবং আবারও বলছি।” মির্জা ফখরুল বলেন, “ভালো ছেলের মতো পদত্যাগ করুন । সংসদ ভেঙে দিয়ে একটি নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন তদারকির জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করুন।”

মির্জা ফখরুল বলেন, “আওয়ামী লীগ আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসেবা খাত ও বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা আমাদের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে এবং এটিকে অবৈধ উপার্জনের স্বর্গে পরিণত করেছে। লুটপাটের মাধ্যমে ব্যাংকগুলো জনগণের সম্পদ কেড়ে নিয়েছে, কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। এর পর, তারা আড়াই শতাংশ প্রণোদনার প্রস্তাব দিয়ে পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করেছে।”

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “এটা হাস্যকর যে, তারা আমাদের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে লোপাটকারীদের পুরস্কৃত করছে এবং আমাদের পকেট থেকে কেটে নিচ্ছে। এটা শুধু বিএনপি, খালেদা জিয়া বা তারেক রহমানের সমস্যা নয়, এটা পুরো জাতিকে প্রভাবিত করে। আমরা ভোটাধিকারের সংকট এবং ভেঙে পড়া অর্থনীতির মুখোমুখি হয়েছি।”

হালে পানি পায়নি বিএনপির এক দফা: হাছান মাহমুদ

এদিকে, বাংলাদেশর তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, “বিএনপি আশা করেছিলো বিদেশি প্রতিনিধিরা এসে একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পদত্যাগের কথা বলবে, এটা কেউ বলেনি। কারো সঙ্গে কোনো আলাপে এই প্রসঙ্গটাই আসেনি।”

শুক্রবার (১৪ জুলাই) দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির সহযোগিতায় চট্টগ্রামে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের কম্পিউটার সায়েন্স-ব্রিজ প্রোগ্রামের সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, “বিএনপির এক দফা হচ্ছে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকার গঠন। এটি বাংলাদেশে যেমন হালে পানি পায়নি, বিদেশিদের কারো সমর্থনও তারা পায়নি।” তিনি বলেন, “শুধু আলোচনায় এসেছে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন। এমনকি, সবার অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন, সে কথাটাও আসেনি।”

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, “অবশ্যই আমরা চাই বিএনপিসহ মকল রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক, সবাইকে নিয়ে আমরা নির্বাচন করতে চাই। তবে সংবিধান অনুয়ায়ী নির্বাচন হবে। সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে এবং নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল গত বুধবার পল্টনে সমাবেশ করে একদফা ও বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে ৩১ দফা ঘোষণা প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “গত পরশুদিন বিএনপি ঘোষণা করেছিল ১ দফা, পরের দিন দেখলাম ৩১ দফা, আসলে বিএনপির কয় দফা এটা নিয়েই অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে। এতে নতুনত্ব নেই।”

তিনি বলেন, “নতুনত্ব যা আছে, তা হলো, তারা (বিএনপি) উম্মুখ হয়ে বসেছিলো ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা যখন আসবে তখন তারা তাদের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। উদ্দেশ্য ছিলো, বিদেশিদের দেখানো, তারা কত বড় সমাবেশ করতে পারে।”

সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে সরকার সংলাপের উদ্যোগ নেবে কি না; এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “নির্বাচন আয়োজক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যদি কোনো কথাবার্তা বলতে হয় তা ইসির সঙ্গে বলতে হবে। তারা ইসির কাছে যেতে পারে, তাদের বক্তব্য তুলে ধরতে পারে। ইসি যদি আমাদের ডাকে আমরাও যাবো।”

এই বিভাগের আরও খবর