লালমনিরহাট বার্তা
জেলায় ৫শর বেশী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শুন্য
রংপুর অফিস | ২৬ ফেব, ২০২৩, ১২:১৮ PM
জেলায় ৫শর বেশী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শুন্য

রংপুর জেলায় পাঁচশতাধিক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শুন্য।একারনে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের পাঠদান থেকে শুরু করে প্রশাসনিক কাজে চরম অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে দেশের সব সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ অথবা পদোন্নতী পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। বহুবার লিখিত ভাবে জানানোর পরেও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কোন পদক্ষেপ গ্রহন করছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর অভিযোগ শিক্ষকদের।

রংপুর জেলা প্রাথিমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে জেলায় মোট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা হচ্ছে ১ হাজার ৪শ ৫৫টি। এর মধ্যে ২শ ৪৬টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। অন্যদিকে ৩০২টি স্কুলে সহকারী শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। এর মধ্যে কাউনিয়া উপজেলায় ২৪টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। গঙ্গাচড়া উপজেলায় ১৯ জন, তারাগজ্ঞ উপজেলায় ৪১জন, পীরগজ্ঞে ১৩ জন, পীরগাছায় ৩৫ জন, বদরগজ্ঞে ৩৩জন , মিঠাপুকুরে ৫৩ জন এবং সদর উপজেলায় ২৮টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। এতে করে প্রধান শিক্ষকের অভাবে পাঠদান সহ প্রশাসনিক কাজকর্মে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিশ্চুক কয়েকজন সহকারী শিক্ষক বলেছেন প্রধান শিক্ষক না থাকায় প্রথমত একজন শিক্ষকের পদ শুন্য রয়েছে দ্বিতীয়ত স্কুলের বিভিন্ন ধরনের প্রশাসনিক কর্মকান্ড স্থবির হয়ে পড়ছে। সেই সাথে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ভালো ভাবে করা যাচ্ছেনা।

নাম প্রকাশে অনিশ্চুক দুজন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ১৩ বছর ধরে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন করে প্রধান শিকস্ষক নিয়োগ কিংবা পদোন্নতী দেয়া হয়নি। তার উপর প্রতিবছর উল্লেখ যোগ্য সংখ্যক শিক্ষক অবসরে যাচ্ছেন অনেকে মৃতু বরন করছেন সেই শুন্য স্থানও পুরন করার কোন উদ্যেগ নেই। এ জন্য প্র্থামিক শিক্ষা মন্ত্রনালয়কে জরুরী ভিত্তিতে উদ্যেগ নেয়া উচিত বলে তারা জানান।

রংপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একে এম শাহাজাহান সিদ্দিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ২০০৯ সালের পর থেকে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ কিংবা পদোন্নতী বন্ধ রয়েছে। এই ১৩ বছর ধরে নতুন করে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বা পদোন্নতী দেয়া হয়নি। রংপুর জেলায় ৩শর বেশি বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন তাদের ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছেনা। এতে করে বিদ্যালয় গুলোতে লেখা পড়া দারুন ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। পুরো বিষয় উর্ধতন কতৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন আমরা সম্ভাব্য প্রধান শিক্ষকের তালিকা তৈরী করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে প্রেরন করেছি এখন আমাদের আর করার কিছুই নেই।

এই বিভাগের আরও খবর