লালমনিরহাট বার্তা
বায়ু ও প্লাস্টিক দূষণের মারাত্মক ঝুঁকিতে বাংলাদেশ; বলছে সিপিডি
ভয়েস অফ আমেরিকা | ১০ জুল, ২০২৩, ৭:৩১ AM
বায়ু ও প্লাস্টিক দূষণের মারাত্মক ঝুঁকিতে বাংলাদেশ; বলছে সিপিডি

বায়ু ও প্লাস্টিক দূষণের মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। আর, সময়োপযোগী নীতি ও জনসচেতনতার অভাবে পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ- সিপিডির এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।

রবিবার (৯ জুলাই) ধানমন্ডির নিজস্ব কার্যালয়ে সিপিডি এই পরিস্থিতি তুলে ধরে। তথ্য উপস্থাপনকালে সিপিডি বলেছে, “গত ২০ বছরে বায়ু দূষণজনিত রোগে মৃত্যুর হার ৯ শতাংশ বেড়েছে। ঢাকা মহানগরীতে দূষণ পরিস্থিতি আরো খারাপ।”

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রিসার্চ ফেলো সৈয়দ ইউসুফ সাদাত। সিপিডি ‘গ্রিন সিটিজ ইনিশিয়েটিভ’ শিরোনামে একটি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য হলো, বায়ু ও প্লাস্টিক দূষণ এবং বাংলাদেশের অর্থনীতির মধ্যে সম্পর্ক অনুধাবন এবং প্রাসঙ্গিক নীতিগত সুপারিশ করা।

গ্রিন সিটিজ ইনিশিয়েটিভ দুটি বিস্তৃত বিষয়ভিত্তিক ক্ষেত্রে আলোকপাত করবে। এগুলো হলো, বায়ু দূষণ এবং প্লাস্টিক দূষণ। প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে, বায়ু ও প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে ঢাকা উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে।

বায়ু দূষণের মধ্যে পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএম) পিএম২.৫ এবং পিএম১০ যথাক্রমে ২.৫ মাইক্রোমিটার এবং ১০ মাইক্রোমিটার থেকে কম বায়ুগত ব্যাস নিয়ে গঠিত। পিএম ২.৫ এতই ক্ষ্রদ্র একক যে এমন কোটি কোটি একককে একটি লোহিত রক্তকণিকার ভেতরে রেখে দেয়া যেতে পারে। যার ফলে শ্বাসযন্ত্র, কার্ডিওভাসকুলার এবং অন্যান্য ধরণের রোগে মানুষের মৃত্যু ঘটে।

পিএম দূষণ ১৯৯৫ সালে ৫১.৬ মাইক্রোমিটার/এম৩ থেকে ২০১৯ সালে ৬৩.৪ মাইক্রোমিটার/এম৩ -তে বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে বৃদ্ধির মাত্রা ২৩ শতাংশ। এর গুরুতর স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যগত প্রভাব রয়েছে। এই বিরূপ প্রভাব শ্রমশক্তির উৎপাদনশীলতা হ্রাস করে এবং পরিবেশগত ক্ষতি করে অর্থনীতিকে প্রভাবিত করে।

শক্তিশালী রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং অবিলম্বে কার্যকর নীতি গ্রহণ করা না হলে আগামী বছরগুলোতে বায়ু দূষণ বাড়তে পারে বলে উল্লেখ করেছে সিপিডি।

এই বিভাগের আরও খবর