লালমনিরহাট বার্তা
আদিতমারী উপজেলা প্রকৌশলী বহাল তবিয়তে!
স্টাফ রিপোর্টার | ২৬ অক্টো, ২০২১, ৪:১৩ AM
আদিতমারী উপজেলা প্রকৌশলী বহাল তবিয়তে!
নারী কেলেংকারী,মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে পারফরমেন্স সিকিউরিটি প্রদান,কমিশন বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ থাকার পরেও বহাল তবিয়তে রয়েছেন আদিতমারী উপজেলা প্রকৌশলী সোহেল রানা। তার বিরুদ্ধে একাধিক জাতীয় পত্রিকাসহ বিভিন্ন অনলাইনে সংবাদ প্রকাশিত হলেও তিনি রয়েছেন বহাল তবিয়তে।
জানাগেছে, গত ১৫ আগস্ট আদিতমারী থেকে রাতে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে বড়ভিটা নামক স্থানে মেয়ে সংক্রান্ত ঘটনায় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রফাদফা শেষে রক্ষা পান উপজেলা প্রকৌশলী সোহেল রানা। তবে নিজেকে বাঁচাতে তিনি ওই দিন রাতে তিনি ছিনতাইকারীর শিকার হয়েছেন মর্মে ওই থানায় একটি সাধারণ ডায়রী (জিডি) করেন। এদিকে তার জিডি করা নিয়ে একাধিক ঠিকাদার অভিযোগ করে বলেন,তার কর্মস্থল হলো আদিতমারী আর বাসা হলো রংপুরের জুম্মা পাড়ায়। তারা প্রশ্ন তুলেন,"এত রাতে তিনি কিশোরগঞ্জের বড়ভিটায় কেন"? এ প্রশ্নের রহস্য থেকেই যাচ্ছে।

এদিকে আদিতমারী উপজেলা প্রকৌশলী সোহেল রানা অত্র উপজেলায় যোগদানের পর থেকে উন্নয়নমূলক কাজে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে শতকরা এক টাকা হারে নেয়া কমিশন বাণিজ্য ওপেন হয়ে দাঁড়িছে। ঠিকাদারদের কাছ থেকে তিনি হিসেব করেই এ অর্থ আদায় করে থাকেন বলে তারা দাবী করেন। কোন ঠিকাদার তার কথার বাহিরে গেলে তাকে নানাভাবে হয়রানী করা হয় বলে ভুক্তভোগীরা দাবী করেন। আবার উন্নয়নমূলক কাজ শেষে বিল করতে গেলে আজ না কাল বলে টালবাহনা করতেই এ কর্মকর্তা।

সম্প্রতি আদিতমারী উপজেলার ৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবণ নির্মাণের কাজ শুরুর আগেই "পারফরমেন্স সিকিউরিটির" টাকা উত্তোলনের সুযোগ করে দেন উপজেলা প্রকৌশলী সোহেল রানা। তবে অভিযোগ রয়েছে,ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক মিলন কনস্ট্রাকশনের সাথে আতাত করে এ কাজটি করেন তিনি। সেখান থেকেও তিনি সুবিধা আদায় করেন বলে ওই ঠিকাদার দাবী করেন।
এদিকে এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ পত্র পত্রিকায় প্রকাশ হলে টনক নড়ে এলজিইডির কর্তৃপক্ষের। শেষে উপজেলা প্রকৌশলীকে শোকজ করেন এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফ আলী খান। আবার নিজেকে বাঁচাতে প্রকৌশলী সোহেল রানা ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে পারফরমেন্স সিকিউরিটির টাকা জমা ও কাজ শুরু করার জন্য তিনি একটি চিঠিও দিয়েছেন।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে একাধিক ঠিকাদার এ প্রতিনিধিকে বলেন, কাজ শেষ হলেও চুড়ান্ত বিল উত্তোলনে গড়িমসি করছেন উপজেলা প্রকৌশলী সোহেল রানা। তারা আরো বলেন, কমিশনের টাকা হিসেব করে নিলেও কাজ শেষে ছুড়ান বিল দিতে তিনি বরাবরই টালবাহনা করে থাকেন। তারা দ্রুত এ কর্মকর্তাকে বদলীর জোর দাবী করেন।
এ বিষয়ে আদিতমারী উপজেলা প্রকৌশলী সোহেল রানার সাথে একাধিকার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এই বিভাগের আরও খবর