লালমনিরহাট বার্তা
শিক্ষা সপ্তাহ প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীদের নাম পাঠানোয় অনিয়মের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার | ১৪ মে, ২০২৩, ৮:০৭ AM
শিক্ষা সপ্তাহ প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীদের নাম পাঠানোয় অনিয়মের অভিযোগ

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ প্রতিযোগিতার তালিকায় শিক্ষার্থীদের নাম পাঠানোয় অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। পাটগ্রাম সরকারি হুজুর উদ্দিন বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ। লিখিত একটি অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট দিয়েছে শিক্ষার্থীর অভিভাবক।

জানা গেছে, সাংস্কৃতিতে জাতীয় শিশু প্রতিযোগিতায় তিনবার বিজয়ী হয়ে ২০২২ সালে রাষ্ট্রপতির নিকট হতে জাতীয় শিশু পুরুস্কার ও ২০১৮ ও ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রীর নিকট হতে শিক্ষা পদক পুরস্কার নেয় ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাফিসা আনজুম প্রথমা। জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে নির্বাচিত হয়ে উপজেলা, জেলা, বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ে ভালো কৃতিত্ব অর্জন করে প্রথমা। নিয়মানুযায়ী বিদ্যালয় থেকে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের চেয়ে ভালো করে পর্যায়ক্রমে জাতীয় পর্যায়ে ভালো করতে হয়। অভিযোগ উঠেছে চলতি ২০২৩ মাধ্যমিক জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে অংশ গ্রহনের এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছে খোদ বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বার বসুনিয়া। এ ব্যাপারে প্রথমার মা ও পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান লতিফা আক্তার একটি লিখিত অভিযোগ গত ১২ মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দিয়েছেন।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি জানিয়ে লতিফা আক্তার বলেন, ‘আমার মেয়ে লোক, ভাওয়াইয়া সংগীত ছাড়াও কয়েকটি পর্বের প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন ও ভালো করার উপযোগী। গত ৩ বছর সে (প্রথমা) পর্যায়ক্রমে জাতীয় পর্যায়ে সাফল্য এনেছে। শিক্ষা সপ্তাহ প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহনের কোনো প্রচারনা না করে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে অন্য শিক্ষার্থীদের নাম উপজেলা পর্যায়ে অংশ গ্রহনের তালিকায় পাঠিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে প্রথমা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। এ ঘটনা জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবহিত করেছি।’

এ ব্যাপারে পাটগ্রাম সরকারি হুজুর উদ্দিন বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল জব্বার বসুনিয়া বলেন, ‘অনিয়মের অভিযোগ অসত্য। প্রথমা আমাদের বিদ্যালয়ে ২০২৩ সালে ভর্তি হয়েছে। এরমধ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও অন্যান্য প্রতিযোগিতা হয়েছে। এতে যারা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে তাঁদেরকে এবং আয়োজিত প্রতিযোগিতায় করে যারা ভালো করেছে গঠিত কমিটি তাঁদের নাম পাঠিয়েছে। প্রথমা আসেনি, বলেওনি।’

পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে বলা হয়েছে।’

এই বিভাগের আরও খবর