লালমনিরহাট বার্তা
গাইবান্ধায় জামানত হারালেন নৌকার চারজন ও লাঙ্গলের ছয়জনসহ ৪০ প্রার্থী
স্টাফ রিপোর্টার, গাইবান্ধা | ২৭ ডিসে, ২০২১, ১:৩৯ PM
গাইবান্ধায় জামানত হারালেন নৌকার চারজন ও লাঙ্গলের ছয়জনসহ ৪০ প্রার্থী
চতুর্থ ধাপে ২৬ ডিসেম্বর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে চারটিতে চেয়ারম্যান পদে জামানত হারিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। এছাড়া জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) ছয়জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের একজন, জাকের পার্টির একজন ও স্বতন্ত্র ২৮ জন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট ৮৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›দ্বীতা করেন। নির্বাচন কমিশনের নিয়মানুযায়ী মোট প্রদত্ত (জমা পড়া) ভোটের আট ভাগের এক ভাগের কম ভোট পেলে তার জামানতের টাকা বাজেয়াপ্ত হবে।
ভোটের ফলাফল বিশ্লেষন করে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগের জামানত হারিয়েছেন রাজাহার ইউনিয়নে আব্দুল লতিফ সরকার (৫৪০ ভোট), রাখালবুরুজ ইউনিয়নে নুরজাহান বেগম (১০৪১ ভোট), নাকাই ইউনিয়নে মোকছেদুল আমিন (৫৯৬ ভোট) ও সাপমারা ইউনিয়নে সামীম রেজা (৫৩২ ভোট)।
এ ছাড়া চেয়ারম্যান পদে আরও জামানত হারিয়েছেন শাখাহার ইউনিয়নে লাঙ্গলের প্রার্থী ও স্বতন্ত্র চারজন, সাপমারা ইউনিয়নে লাঙ্গল ও স্বতন্ত্র তিনজন, কোচাশহর ইউনিয়নে লাঙ্গল ও স্বতন্ত্র দুইজন, দরবস্ত ইউনিয়নে লাঙ্গল ও স্বতন্ত্র দুইজন, হরিরামপুর ইউনিয়নে লাঙ্গল ও স্বতন্ত্র একজন, রাখালবুরুজ ইউনিয়নে লাঙ্গলের প্রার্থী ও স্বতন্ত্র একজন, ফুলবাড়ী ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী ও স্বতন্ত্র একজন, নাকাই ইউনিয়নে জাকের পার্টির প্রার্থী ও স্বতন্ত্র দুইজন, কামদিয়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী তিনজন, শালমারা ইউনিয়নে তিনজন, গুমানিগঞ্জ ইউনিয়নে দুইজন, রাজাহার ইউনিয়নে দুইজন, কাটাবাড়ী ইউনিয়নে একজন এবং তালুককানুপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র একজন প্রার্থী। একমাত্র মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নে চার চেয়ারম্যান প্রার্থীর কেউই জামানত হারাননি।
এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল মোত্তালিব বলেন, নির্বাচনের আগে প্রত্যেক চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত হিসেবে পাঁচহাজার টাকা করে জমা থাকে। মোট প্রদত্ত ভোটের এক অষ্টমাংশের নিচে এক ভোট কম পেলেই তার জামানতের টাকা নিয়মানুযায়ীই বাজেয়াপ্ত হয়।
এই বিভাগের আরও খবর