লালমনিরহাটের পাটগ্রাম ইউনিয়নে বিয়ের ১৯ দিনের মাথায় রুমানা আক্তার (১৬)
নামে এক গৃহবধু আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে দাদার বাড়িতে
ঘরের ধর্ণায় গলায় ওড়না পেচিয়ে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। গৃহবধুর ফুফা
শাহিনুর রহমান ও দাদা সিদ্দিক দাবি করেছে- বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাদে
রুমানাকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখে তাঁর (রুমানার) স্বামী ও অন্যান্যরা
পালিয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, ওই ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বেংকান্দা এলাকার রবিউল ইসলামের
মেয়ে রুমানা আক্তারের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে দৈহিক মেলামেশা করে একই
এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে হাবিবুর রহমান (২৩)। এতে মেয়েটি ৫ মাসের
অন্তঃসত্তা হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় এলাকার লোকজনেরা উভয়ের পরিবাররের সাথে কথা বলে
এ মাসের গত ১০ তারিখে হাবিবুরের সাথে বিয়ে দেয় মেয়েটির। বিয়ের ১৯
দিনের মাথায় গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
পাটগ্রাম ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য আকিদুল ইসলাম বলেন, ‘ছেলে তাঁর
বাবা-মা কেউ বাড়িতে নাই, পালাইছে। শুনেছি ছেলেটা (হাবিবুর) মেয়েটির
সাথে কথা-বার্তা বলতনা। আর বলেছে তুই বিষ খেয়ে না হলে ফাঁস দিয়ে মারা যা,
তারপর আমি মরবো। অবশ্যই বিশৃঙ্খলা হয়েছে বলেই তো এ ঘটনা ঘটেছে।’
রুমানার ফুফা শাহিনুর রহমান ও দাদা সিদ্দিক দাবি করেন, ‘মেয়েটির সর্বনাশ
করে বিয়ে করতে রাজি হচ্ছিলনা হাবিবুর। এলাকার লোকজনেরা তাঁদের বিয়ে দেয়।
বিয়ের পর থেকেই মেয়েটিকে (রুমানা) অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করতে থাকে
হাবিবুর তাঁর বাবা-মাসহ অন্যরা। বুধবার বাড়িতে কেউ না থাকায় হাবিবুর
মেয়েটিকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে গেছে। পুলিশ লাশ নিয়ে গেছে।
আমরা আজই থানায় মামলা দিবো।’
এ ব্যাপারে পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন,
‘রুমানার লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য লালমনিরহাট
হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট লাশ দেওয়া
হবে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’