লালমনিরহাট বার্তা
কৃষকের ঈদ আনন্দ ‘তখন মনে হয় স্বার্থক এই অভিযান’
ইত্তেফাক | ১৮ এপ্রি, ২০২৩, ৫:২৫ AM
কৃষকের ঈদ আনন্দ ‘তখন মনে হয় স্বার্থক এই অভিযান’

গত কয়েকবছর ধরে গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ তার নিজস্ব পরিকল্পনা ঈদ নিয়ে চারণ এলাকার কৃষকদের সঙ্গে ভিন্নধর্মী এক অনুষ্ঠান নির্মাণ করে আসছেন। টিভি মিডিয়ার ইতিহাসে কৃষকদের নিয়ে এ ধরনের অনুষ্ঠান এর আগে কখনও হয়নি। অনুষ্ঠানের নাম ‘কৃষকের ঈদ আনন্দ’।

এবারের ঈদেও ব্যতিক্রম হয়নি। ঈদের পরদিন বিকেল সাড়ে ৪টা মানেই চ্যানেল আইয়ের পর্দায় ‘কৃষকের ঈদ আনন্দ’। শাইখ সিরাজের পরিকল্পনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনায় জনপ্রিয় এই অনুষ্ঠানটির এবারের পর্ব ধারণ করা হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে টেকানগর গ্রামে লঙ্গন নদীর তীরে। গ্রামীণ আবহে কৃষকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এবারের ‘কৃষকের ঈদ আনন্দ’ আরও জমজমাট, ব্যতিক্রমী ও মজার সব খেলাধুলায়। আর দেশ ও বিদেশের বৈচিত্রপূর্ণ সব গল্পের বুননতো রয়েছেই।

এবারে খেলাধুলার অংশটি ধারণের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে বেছে নেওয়ার কারণ হিসেবে উন্নয়ন সাংবাদিক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষের অর্থনীতির মূল ভিত্তিই কৃষি। প্রাচীনকাল থেকেই এ অঞ্চল ধান, পাট, সরিষার পাশাপাশি প্রাকৃতিক মাছের ভাণ্ডার। প্রতি বছর ঈদ আনন্দের একটি নির্দিষ্ট থিম থাকে। এবার কৃষি ঐতিহ্যের ব্যতিক্রমী অঞ্চল হাওড়কে কেন্দ্র করে রচিত হয়েছে কৃষকের ঈদ আনন্দের মূলগাথা। নদীমাতৃক বাংলার নদীকে ঘিরে যে জীবন-যাপন তা তুলে ধরতে চেয়েছি। সব দিক থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরকে এবার এই আয়োজনের জন্য উপযোগী মনে হয়েছে।

‘কৃষকের ঈদ আনন্দ’ অনুষ্ঠানে কৃষকদের বালিশ লড়াই
‘কৃষকের ঈদ আনন্দ’ অনুষ্ঠানে কৃষকদের বালিশ লড়াই

‘কৃষকের ঈদ আনন্দ’ প্রচারিত হবে ঈদের পরদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় চ্যানেল আইতে।

অনুষ্ঠানটির প্রসঙ্গে উপস্থাপক ও পরিচালক শাইখ সিরাজ বলেন, অনুষ্ঠানটি শুটিং করতেই আমি ও আমার পুরো ইউনিট ভীষণ আনন্দ পাই। কারণ দেখুন সারাবছর আমরা শহুরে তারকাদের নিয়েই মেতে থাকি। বছরের বিশেষ দিনগুলোতেও আবার তাদের। টিভি মিডিয়ামগুলো যেন শুধু কৃষকদের হতাশা আর দারিদ্র প্রকাশের জায়গা ছিল এতকাল। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এটাকেই ভাঙতে চেয়েছি আমি। এবং কৃষক ভাইদের সঙ্গে শুটিং করে এক নির্মল আনন্দ নিয়ে প্রতি ঈদে আমরা ঢাকায় ফিরি। আমরা ওই শুটিংয়ে লাইভ দর্শক হিসেবেও আনন্দিত হয় কৃষকদের মুখে হাসি ফোটাতে পেরে। অনুষ্ঠানটির জন্য এখন বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষক সমাজের যখন আবদার পাই, তখন সত্যিই মনে হয় স্বার্থক এই অভিযান। এবারের অনুষ্ঠানটিও দারুণ প্রানোচ্ছ্বল এক নিবেদন হবে বলে আমার বিশ্বাস।

এই বিভাগের আরও খবর