লালমনিরহাট বার্তা
রুশ হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ব্যবস্থার প্রায় অর্ধেক ধ্বংস
বার্তা অনলাইন ডেস্কঃ | ২০ নভে, ২০২২, ৪:৪২ AM
রুশ হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ব্যবস্থার প্রায় অর্ধেক ধ্বংস

সম্প্রতি শেষ হওয়া 'জি-২০' শীর্ষ সম্মেলনে তার বক্তৃতায়, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুদ্ধের অবসানের জন্য ১০ দফা শান্তি পরিকল্পনার প্রস্তাব করেছিলেন। এরপর থেকে রাশিয়া ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর হামলা বাড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিহাল দাবি করেছেন, ইউক্রেনের প্রায় অর্ধেক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়েছে। খবর রয়টার্সের।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) ইউক্রেনে বছরের প্রথম তুষারপাতের সময় এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে। তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রির নিচে নেমে যায়। 

এদিন এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিহাল জানান, দুর্ভাগ্যবশত রাশিয়া ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিক ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর উপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। হামলায় অর্ধেক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়েছে।

এরআগে জেলেনস্কি ইউক্রেনের এক কোটি মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধা ছাড়া দিনযাপন করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, রাশিয়া হামলা করে বুঝিয়ে দিচ্ছে যে যুদ্ধ শেষের কোনো আগ্রহ নেই তাদের। 

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ প্রশাসনের উপপ্রধান মাইকোলা পোভোরোজনিক জানান, কিয়েভ এখন ভিন্ন পরিস্থিতির প্রস্তুতি নিচ্ছে, যার মধ্যে পুরো শহর বন্ধের বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা হচ্ছে। তবে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হলে তারা কী ধরনের ব্যবস্থা নেবেন তা তিনি বলেননি। 

দেশটির সবচেয়ে বড় বেসরকারি জ্বালানি কোম্পানি ডিটিইকের সিইও ম্যাকসিম টিমচেনকো জানান, পরিস্থিতি দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে। 

রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় বসতে অপারগতা প্রকাশ করায় এসব হামলা চালানো হচ্ছে। কিয়েভ, ওডেসা, ভিনিসিয়া ও টারনোপিল অঞ্চলের শক্তি অবকাঠামো রাশিয়ার আক্রমণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বর্তমান শীত মৌসুম পার করতে নাগরিকদের বিদ্যুৎসহ সব ধরনের শক্তি ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। চলমান রুশ আক্রমণের নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘ সতর্ক করেছে, বিদ্যুৎ ও পানির সংকট এই শীতে ইউক্রেনে 'মানবিক বিপর্যয়' ঘটাতে পারে। 

এদিকে গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, রাশিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শাখালিন দ্বীপে একটি আবাসিক ভবনে সন্দেহভাজন গ্যাস বিস্ফোরণে এক শিশুসহ নয়জন নিহত হয়েছেন। ইটের ভবনটি আশির দশকে নির্মিত হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে গ্যাস লিক থেকে এ অগ্নিকান্ড ঘটেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তবে রাশিয়ার তদন্ত কমিটি জানিয়েছে তারা এ ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করছেন।

এই বিভাগের আরও খবর