লালমনিরহাট বার্তা
নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
বার্তা ডেস্ক | ১৮ নভে, ২০২৩, ১:২২ PM
নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ ও ভূরুঙ্গামারীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পালিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ৭ টায় সন্তোষে মওলানা ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর।

এরপর মওলানা ভাসানী পরিবার, ভাসানী পরিষদ, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব, ন্যাপ ভাসানী, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও মওলানা ভাসানীর ভক্ত অনুসারীরা মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং মোনাজাত করেন।

এছাড়া হাসরত খান ভাসানীর নেতৃত্বে দরবার হল ও কলেজ প্রাঙ্গণে দুইদিন ব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। অসংখ্য মুরিদান ও ভক্তদের কন্ঠে যুগ যুগ জিও তুমি মওলানা ভাসানী শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে মজলুম জননেতার সমাধিস্থল।

এদিকে দিবসটি উপলক্ষে সিরাজগঞ্জ শহরের সয়াধানগড়া উত্তরপাড়া এলাকায় মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর জন্ম ভিটায় আজ শুক্রবার বিকেলে হাজী শরাফত আলী খান ও মজিরন নেসা বিবি পাঠশালা এবং মওলানা ভাসানী পাঠাগারের উদ্বোধন করা হয়েছে।

ভারতীয় প্রামাণ্য চলচিত্র নির্মাতা, কলকাতা ভাসানী চর্চা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা, বিশিষ্ট লেখক সৌমিত্র দস্তিদার এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থেকে পাঠাগারের উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, খোদা-ই-খেদমদগারের সভাপতি হাসরত খান ভাসানী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ভাসানী পরিষদের সদস্য সচিব আজাদ খান ভাসানী, মওলানা ভাসানী স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি মো. লতিফুর রহমান খান লিটন, সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট বিমল দাস, সুধা ফাউন্ডেশনের ম্যানেজিং ওয়ার্কার বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম খোকন, এনডিপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর হোসেন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের আয়োজন ও হাজী শরাফত আলী খান ও মজিরন নেসা বিবি পাঠশালা এবং মওলানা ভাসানী পাঠাগার বাস্তবায়ন করেন মওলানা ভাসানী স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটি, ভাসানী পরিষদ ও সুধা ফাউন্ডেশন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কলামিস্ট সৌমিত্র দস্তিদার বলেন, মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ছিলেন সারা বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের নেতা। তিনি বলতেন পৃথিবীতে দুইটি ধারা আছে। একটি জালিম এবং অপরটি মজলুম। জালিমরা কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষকে শোষণ করে আর মজলুমরা শোষণের শিকার হয়।

তিনি আরও বলেন, তাই মওলানা ভাসানীকে ভুলে থাকা মানে ইতিহাসের পাপ। ফলে মওলানা ভাসানীর চর্চার মধ্য দিয়ে ইতিহাসের দায় মোচন করা আমাদের অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।

এছাড়া ভূরুঙ্গামারীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিসবটিকে ঘিরে আলোচনা সভা, ওরশ মোবারক ও সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর