লালমনিরহাট বার্তা
অস্ট্রেলিয়ার গির্জায় হামলাকারীর আচরণে উগ্রবাদ ছিল না
ডয়চে ভেলে | ১৮ এপ্রি, ২০২৪, ৫:৪৭ AM
অস্ট্রেলিয়ার গির্জায় হামলাকারীর আচরণে উগ্রবাদ ছিল না

সিডনির একটি গির্জার অ্যাসিরিয়ান বিশপকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় গ্রেপ্তার কিশোরের মধ্যে আগে উগ্রবাদের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন তার বাবা৷

১৫ এপ্রিল সন্ধ্যার এ হামলায় অ্যাসিরিয়ান ক্রাইস্ট দ্য গুড শেফার্ড গির্জার বিশপ মার মারি ইমানুয়েল আহত হন৷ সন্দেহভাজন আক্রমণকারীরা ধর্মীয় উগ্রবাদ দ্বারা অনুপ্রাণিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷

হামলার পরপর জরুরি পরিষেবার কর্মীদের উপর হামলা চালানো লোকদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে পুলিশ৷

লেবানিজ মুসলিম অ্যাসোসিয়েশনের সচিব গামেল খেইর রয়টার্সকে বলেছেন, অভিযুক্ত ছেলেটির বাবা তার ছেলের মধ্যে মৌলবাদের কোনো লক্ষণ দেখেননি বলে দাবি করেন৷ গামেল খেইর বলেন ‘‘অভিযুক্ত ছেলেটির বাবা জানান তার ছেলের মধ্যে প্রতিবাদী মনোভাব ছাড়া আর কোনো লক্ষণ ছিল না৷''

গামেল জানান, সোমবার নিজেদের বাড়ি ছেড়ে অভিযুক্তের পরিবার স্থানীয় এক মসজিদে আশ্রয় নেয়ার সময় পরিবারটির সঙ্গে তাদের কথা হয়৷

সিডনি পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত হামলাকারীর পরিবার প্রতিশোধের ভয়ে সাময়িকভাবে তাদের পশ্চিম সিডনির বাড়ি থেকে অন্যত্র থাকছে৷

ছুরিকাঘাতের ঘটনা অ্যাসিরিয়ান সম্প্রদায়ের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে৷ অ্যাসিরিয়ান সম্প্রদায় মূলত মধ্যপ্রাচ্যের খ্রিস্টান ধর্ম অনুসারী লোকজন৷ তাদের অনেকে বিশ্বাসের কারণে মাতৃভূমি থেকে পালিয়ে এসেছে৷ অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত ৪২ হাজার অ্যাসিরিয়ান জনগোষ্ঠীর প্রায় ৪০% গির্জার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোতে বসবাস করেন৷

সম্পূর্ণ পরিচয় প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক মারিয়া জানান তার পরিবার ১৯৯৩ সালে ইরাক থেকে অস্ট্রেলিয়ায় চলে আসে৷ তিনি বলেন, ‘‘এটা খুবই ভয়াবহ৷ খ্রিস্টান হওয়ার কারণে ইরাকে অ্যাসিরিয়ান সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচারের জন্য আমার পরিবার এখানে চলে আসে৷''

মারিয়া আরও বলেন, ‘‘আমাদের বিশ্বাসের উপর এই আক্রমণ, এটা আমাদের অতীত স্মৃতিকে আরেকবার মনে করিয়ে দিয়েছে৷'' শহরের মুসলিম সম্প্রদায়ও সতর্ক অবস্থায় রয়েছে৷

লেবানিজ মুসলিম অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, সোমবার রাতে সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম বৃহৎ লাকেম্বা মসজিদ আগুনের বোমা হামলার হুমকি পেয়েছে৷ গামেল খের জানান, ‘‘মসজিদটি রক্ষার জন্য দুজন নিরাপত্তা রক্ষী নিয়োগ করা হয়েছে৷''

শনিবার (১৩ এপ্রিল) বন্ডি সৈকতের কাছে একটি বিপণিবিতানে ছুরিকাঘাতে ছয়জন নিহত হওয়ার তিন দিনের মধ্যে গির্জার ঘটনাটি ঘটে৷

পশ্চিম সিডনির উপকণ্ঠে সোমবারের হামলার পর গির্জার বাইরে পুলিশ ও ক্ষুব্ধ জনতার মধ্যে সংঘর্ষ হয়৷ সেসময় ক্ষুদ্ধ জনতা সন্দেহভাজন হামলাকারীকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানায়৷

পুলিশ সংঘর্ষের জন্য দায়ীদের গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করছে বলে জানিয়েছেন নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের পুলিশ কমিশনার কারেন ওয়েব৷ এবিসি রেডিওকে ওয়েব বলেন, হামলাকারীদের শনাক্ত করার জন্য সকল ভিডিও ফুটেজ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে৷

এই বিভাগের আরও খবর