লালমনিরহাট বার্তা
‘কথা না শোনা’ মন্ত্রী-এমপির কপাল পুড়ছে’
বিবিসি বাংলা | ২৯ এপ্রি, ২০২৪, ১০:৫৩ AM
‘কথা না শোনা’ মন্ত্রী-এমপির কপাল পুড়ছে’

উপজেলা নির্বাচনে স্বজনপ্রীতি নিয়ে সমকালের প্রধান শিরোনাম, ‘‘কথা না শোনা’ মন্ত্রী-এমপির কপাল পুড়ছে’

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, নির্দেশনা আমলে না নিয়ে উপজেলা নির্বাচনে স্বজনরা প্রার্থী হওয়ায় কপাল পুড়তে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি ও মন্ত্রীর।

সাংগঠনিক শাস্তির খড়গ নেমে আসছে তাদের ওপর। কেড়ে নেওয়া হতে পারে দলীয় পদ-পদবি। এমনকি আগামী সংসদ নির্বাচনে তারা দলের মনোনয়ন নাও পেতে পারেন।

যে কোনো সময় মন্ত্রিসভা থেকে ছিটকে পড়তে পারেন দলের কড়া বার্তা কানে না তোলা মন্ত্রীরা।

আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন এমপির স্বজন দলের নির্দেশ না মেনে উপজেলা নির্বাচনে লড়ছেন।

তাদের নির্বাচন থেকে সরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তবে সে কথায় চিড়ে ভেজেনি! এক এমপিও তাদের স্বজনকে ভোটের মাঠ থেকে তুলে নেননি। এ নিয়ে দলের ভেতরেই দেখা দিয়েছে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া।

এমন পরিস্থিতিতে স্বজনকে প্রার্থী করানো মন্ত্রী ও দলীয় এমপির তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গণভবনে বৈঠক ডাকা হয়েছে। অভিযুক্ত এমপির কয়েকজন, যারা দলের কার্যনির্বাহী সংসদে আছেন, তারাও বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন।

এদিকে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়া বিএনপি নেতাদের প্রসঙ্গে মানবজমিনের প্রথম পাতার খবর, ‘মাঠ ছাড়ছেন না বিএনপি’র বহিষ্কৃত নেতারা’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ভোট করছেন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের ৭৬ জন নেতা।

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় ওই ৭৬ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

নির্বাচনে অংশ নেয়াদের মধ্যে ৩০ জন চেয়ারম্যান পদে, ২৫ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে এবং সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন ২১ জন।

এর বাইরে বিভিন্ন সময়ে দল থেকে বহিষ্কৃত, অন্য দলে যোগ দেয়া এবং দলীয় নেতাদের আত্মীয়-স্বজনরাও রয়েছেন।

তবে দল কী করছে- সেটা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না বহিষ্কৃত নেতারা। তারা নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন এবং বিজয়ী হওয়ার জন্য কাজ করছেন।

বিএনপি থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী বহিষ্কৃত নেতারা বলছেন, তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নির্বাচন করবেন। দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে, এতে তারা বিন্দুমাত্র বিচলিত নন।

বহিস্কার প্রসঙ্গে বিএনপি’র বেশ কয়েকজন নেতা বলেছেন, তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মতামত নিয়েই নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এরপরও অনেকেই দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।

তাই দল বাধ্য হয়ে বহিষ্কারের মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাতে ভবিষ্যতে কেউ দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করতে সাহস না পায়।

এই বিভাগের আরও খবর