লালমনিরহাট বার্তা
আগাম র্প্রাথী যাচাই শুরু
বার্তা অনলাইন ডেস্কঃ | ৯ সেপ, ২০২১, ৪:২৪ AM
আগাম র্প্রাথী যাচাই শুরু
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে মাথায় রেখে প্রার্থী যাচাই শুরু হয়ে গেছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। গেল সপ্তাহ থেকে সারা দেশে সংসদীয় এলাকা ধরে বর্তমানের সব নিবন্ধিত দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। একাধিক সংস্থার পাশাপাশি সাংগঠনিকভাবে এ কাজ করা হচ্ছে বলে জানা যায়।

প্রসঙ্গত, নির্বাচনের এখনো দুই বছরেরও বেশি সময় বাকি থাকতে প্রার্থী যাচাইয়ের কাজটিকে বেশ আগাম বলেই রাজনৈতিক মহল অভিমত দিচ্ছেন। কিন্তু এর মধ্যে তাত্পর্যও খুঁজছেন অনেকে। অনেকের মতে, আগামী সাধারণ নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে সরকারে তাগিদ রয়েছে। যারা প্রার্থী যাচাই করছেন তারাও জানতে চাইছেন সব দল বিশেষত বিএনপি ও জামায়াত যদি নির্বাচনে অংশ নেয় সে ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে কারা প্রার্থী হলে বিজয়ী হতে পারেন।
উল্লেখ্য, সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় আগামী নির্বাচনেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রার্থী হতে পারবেন না। একাধিক রাজনৈতিক সূত্র মতে, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বড় ধরনের মেরুকরণের সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে বিএনপির নেতা কর্মীদের একটি বড় অংশকে ভিন্ন নামে গঠিত কোন দলে দেখা যেতে পারে। সব জেলায় সাংগঠনিক কমিটি না থাকায় গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বা আরপিও অনুযায়ী নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক সাংগঠনিক জেলার কমিটি হারাতে পারে বিএনপি, তখন তাদের নিবন্ধন বাতিলের প্রশ্নও সামনে চলে আসতে পারে। সেক্ষেত্রে তাদেরকে অন্য নামে নিবন্ধিত হয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে হতে পারে বা অন্য কোন নিবন্ধিত দলের সঙ্গে জোট করে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে।
তবে আদৌ এসব দল বিশেষ করে বিএনপি, জামায়াত নির্বাচনে অংশ নেবে কি না তা নিয়েই বড় সংশয় রয়ে গেছে। কারণ ইতিমধ্যে তারা বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকছে। নির্বাচন কমিশনের পরিবর্তন, প্রশাসনিক সংস্কারসহ বেশ কয়েকটি বড় দাবি রয়েছে তাদের। কিন্তু সরকার বিদ্যমান নির্বাচনী ব্যবস্থার বাইরে যেতে নারাজ। তবে নির্বাচন হতে এখনো দুই বছরের বেশি সময় রয়েছে। এই সময়ে ‘রাজনীতিতে অনেক কিছুই হতে পারে’-এমন ধারণা নিয়ে অপেক্ষা করাও একেবারে অমূলক হবে না বলে অভিমত অভিজ্ঞ মহলের।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী যাচাইয়ের ক্ষেত্রে এবার বেশকিছু নতুন তথ্য সংগ্রহ হচ্ছে। সম্ভাব্য মূল প্রার্থী ছাড়াও বিকল্প প্রার্থীর নামও নেওয়া হচ্ছে। আবার বিকল্প প্রার্থী অথবা কোন কারণে প্রার্থী যদি দুর্বল হয় সে ক্ষেত্রে তাকে পাস করানোর জন্য করনীয় কী হবে, সে বিষয়েও জনমত নেওয়া হচ্ছে। পুলিশ ও সিভিল প্রশাসনের সঙ্গে কোন প্রার্থীর সম্পর্ক ভাল কি মন্দ অথবা পুলিশ বিরোধী মনোভাবাপন্ন কি না সে বিষয়েও তথ্য নেওয়া হচ্ছে। দলীয় কর্মী ও সাধারণ জনগণের সঙ্গে কোন দলের কোন প্রার্থীর সম্পর্কের বিষয়টিও যাচাই প্রতিবেদনে স্থান দেওয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগের প্রার্থিতা সম্পর্কে যাচাইয়ে অধিক তথ্য চাওয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী, সম্ভাব্য বিকল্প প্রার্থী-এ দুইজনের মধ্যে যোগ্য কে, সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হলে কোন দলের প্রার্থী সংশ্লিষ্ট আসনে জয়ী হতে পারে এবং আওয়ামী লীগ ও প্রতিপক্ষ প্রার্থীর তুলনামূলক বিশ্লেষণও করা হচ্ছে।

২০০১ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে কোন দলের কোন প্রার্থীর ভোট কত সেটিও জেনে নেওয়া হচ্ছে। ২০০১ সাল থেকে অনুষ্ঠিত প্রতিটি নির্বাচনে যেখানে আওয়ামী লীগ পরাজিত হয়েছে, তার কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। কোন দলের প্রার্থীর কাছে আওয়ামী লীগ হেরেছে, ভোটের ব্যবধান কত ইত্যাদি তথ্যও যাচাই করা হচ্ছে। (সুত্র: ইত্তেফাক)
এই বিভাগের আরও খবর