লালমনিরহাট বার্তা
ঈদুল আযহায় জেলায় কয়েক কোটি টাকা অবৈধ হাসিল (খাজনা) আদায় করেছেন ইজারাদারেরা
স্টাফ রিপোর্টার | ২৮ জুন, ২০২৩, ৩:০১ PM
ঈদুল আযহায় জেলায় কয়েক কোটি টাকা অবৈধ হাসিল (খাজনা) আদায় করেছেন ইজারাদারেরা

ত্যাগের মহিমায় সমুজ্জল ঈদুল আযহাকে উপলক্ষ্য করে জেলার ছোট বড় প্রায় ৩০টি হাটের অধিকাংশ ইজারাদার (হাটাই) অবৈধভাবে কয়েক কোটি টাকার হাসিল (খাজনা) আদায় করেছেন বলে গরু, ছাগল ক্রেতা ও বিক্রেতাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে।

স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক হাট-বাজার সমূহের ইজারা পদ্ধতি এবং এ হতে প্রাপ্ত আয় বন্টন সর্ম্পকিত নীতিমালা, ২০১১ এর অনুচ্ছেদ নং ৫ মোতাবেক বিভিন্ন দ্রব্যের ওপর আরোপ যোগ্য টোলের হার পর্যালোচনা করে লালমনিরহাট জেলাধীন হাট বাজার সমূহের ১৪৩০ বঙ্গাব্দের টোল রেইট অনুমোদন করা হয়।

এতে পাটগ্রাম পৌরসভার হাট-বাজার ব্যতীত জেলার সকল হাট-বাজারে প্রতি গরু-৩৫০ টাকা (শুধুমাত্র ক্রেতার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য) ও ছাগল -৬০ টাকা (শুধুমাত্র ক্রেতার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য) রেইট নির্ধারণ করা হয়। ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের নিকট টোল আদায় অবৈধ ও শাস্তি যোগ্য অপরাধ।

এতদ সত্তে¡ও জেলার অধিকাংশ হাট-বাজারের ইজারাদার ঈদুল আযহাকে উপলক্ষ্য করে প্রতিটি গরু ক্রেতার নিকট ৫শত টাকা ও বিক্রেতার নিকট ৩শত টাকা এবং প্রতিটি ছাগল ক্রেতার নিকট ২শত টাকা এবং বিক্রেতার নিকট ১শত টাকা জোরপূর্বক আদায় করা হয়েছে মর্মে অভিযোগে জানা গেছে।

হাট-বাজার ব্যবস্থাপনা নীতিমালা, ২০১১ এর অনুচ্ছেদ নং ৫ মোতাবেক প্রতিটি হাট-বাজারে টোল আদায়ের চার্ট জনগণের জ্ঞাতার্থে টাঙ্গিয়ে রাখার নির্দেশনা থাকলেও জেলার অধিকাংশ হাট বাজারে টোল রেইট টাঙ্গানো নেই। ক্রেতা-বিক্রেতার কাছ থেকে টোল আদায় করা হলেও তাদেরকে অধিকাংশ ক্ষেত্রে রশিদ দেয়া হয় না। ইজারাদারদের সংরক্ষিত টোল আদায়ের রশিদ দেখলেই এর সত্যতা প্রমাণ পাওয়া যাবে বলে অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন। এব্যাপারে কয়েকজন ইজারাদারের সাথে যোগাযোগ করা হলেও এর কোনো সদ উত্তর পাওয়া যায়নি।

এই বিভাগের আরও খবর