লালমনিরহাট বার্তা
আনসার আল ইসলামের রিক্রুটিং শাখার প্রধানসহ ২ সদস্য গ্রেফতার
বার্তা অনলাইন ডেস্ক | ২৫ মে, ২০২৪, ১:৩৫ PM
আনসার আল ইসলামের রিক্রুটিং শাখার প্রধানসহ ২ সদস্য গ্রেফতার

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের রিক্রুটিং শাখার প্রধান ইসমাইল হোসেনসহ ২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব-৩। বাকি দুইজন হচ্ছেন আনসার আল ইসলামের আঞ্চলিক প্রশিক্ষক। তাদেরকে রাজধানীর গুলিস্তান ও সাইনবোর্ড এলাকা হতে উগ্রবাদী পুস্তিকাসহ গ্রেফতার করা হয়।র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।তিনি জানান, র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-৩ এর একটি দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর গুলিস্তান ও সাইনবোর্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে আনসার আল ইসলামের রিক্রুটিং শাখার প্রধান মো. ইসমাইল হোসেন (২৫), মো. জিহাদ হোসেন ওরফে হুজাইফা (২৪) ও  মো. আমিনুল ইসলামকে (২৫) গ্রেফতার করে।  কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, গ্রেফতারকৃতরা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’র সদস্য। তারা আফগানিস্থানে তালেবানের উত্থানে উদ্বুদ্ধ হয়ে আল কায়েদা মতাদর্শের জঙ্গি সংগঠনে ‘আনসার আল ইসলাম’ যোগাদান করে। র‌্যাবসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়মিত অভিযানের ফলে আনসার আল ইসলামর কার্যক্রম প্রায় স্তিমিত হয়ে পড়েছে। আনসার আল ইসলামের নামে নতুন সদস্য সংগ্রহসহ কোন প্রকার কার্যক্রম পরিচালনা করতে ব্যহত হচ্ছে বিধায়, তাদের কার্যক্রমকে চলমান রাখতে গ্রেফতারকৃতরা আনসার আল ইসলাম মতাদর্শী ‘শাহাদাত’ নামে নতুন একটি জঙ্গি সংগঠন তৈরি করে নতুন সদস্য সংগ্রহসহ দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকে। এই সংগঠনের সদস্য সংখ্যা শতাধিক। গ্রেফতারকৃত ইসমাইল আনসার আল ইসলামের রিক্রুটিং শাখার প্রধান এবং ‘শাহাদাত’ গ্রুপেরও প্রধান হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করতো। গ্রেফতারকৃত ইসমাইল জানিয়েছে, এই গ্রুপটি সালাহউদ্দিন নামক এক ব্যক্তির মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। যিনি বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করছে। এই গ্রুপের অন্যান্য সদস্যরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করছে। তারা বিভিন্ন সময় অনলাইনে বিভিন্ন উগ্রবাদী নেতাদের বক্তব্য দেখে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে সংগঠনের সদস্যদের মাধ্যমে সংগঠনে যোগদান করে। পরবর্তীতে তারা আনসার আল ইসলামের নাম ব্যবহার না করে ‘শাহাদাত’ গ্রুপের নামে সদস্য সংগ্রহ ও দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। তাদের মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশে ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠা করা। র‌্যাব জানিয়েছে, এ সংগঠনের অধিকাংশই মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষক। সাধারণ লেখাপড়ায় শিক্ষিত উগ্র মনোভাবাপন্ন লোকজনকে আকৃষ্ট করার জন্য দেশ বিরোধিতাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। এ সংগঠনে মাদ্রাসা শিক্ষক সদস্যগণ অত্যন্ত সু-কৌশলে মাদ্রাসা পড়–য়া কোমলমতি ছাত্রদের এ বিষয়ে অনুপ্রাণিত করে।   

এই বিভাগের আরও খবর