লালমনিরহাট বার্তা
১১ দিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে যুবতি, লাপাত্তা প্রেমিক
স্টাফ রিপোর্টারঃ | ৬ সেপ, ২০২১, ১০:৪৭ AM
১১ দিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে যুবতি, লাপাত্তা প্রেমিক
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বাংলাবাড়ি ৬ নং ওয়ার্ড এলাকার প্রেমিক আনিছুর রহমান লেলিন (২৩) বাড়িতে অবস্থান করছেন প্রেমিকা (২০)। ঘটনার পর থেকে লাপাত্তা রয়েছে প্রেমিক। এ ঘটনায় প্রেমিক ও প্রেমিকার পরিবার থানা পুলিশের স্মরণাপন্ন হয়েছে।
থানায় দেয়া অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নুর ইসলামের ছেলে আনিছুর রহমান লেলিন পাটগ্রাম পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের শিক্ষার্থী প্রেমিকার সাথে গত ৩ বছর থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। বিয়ে করার প্রতিশ্রæতি দিয়ে উপজেলা ও জেলার বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেন। এক পর্যায়ে প্রেমিকার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেন লেলিন। পরে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সম্পর্ক অস্বীকার করে সে (লেলিন)। এ ঘটনায় গত ২৭ আগস্ট প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে উঠে প্রেমিকা। প্রেমিকার দাবি বাড়িতে যাওয়ার পর বাড়ির পেছন দিয়ে পালিয়ে যায় প্রেমিক। সে থেকে প্রেমিকের ফিরে আসার অপেক্ষায় তাঁর (প্রেমিকের) বাড়িতে রয়েছেন প্রেমিকা। এ ঘটনায় প্রেমিকার বাবা বাদি হয়ে পাটগ্রাম থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে তিনি দাবি করেছেন, আনিছুর রহমান লেলিন বিয়ে রেজিস্ট্রি ও পড়ান করার কথা বলে মেয়েকে ডেকে নিয়ে বাবা- মা, ভাইয়ের পরামর্শে পালিয়ে যায়।
প্রেমিকের বাবা নুর ইসলাম ও মা রুবিনা বেগম বলেন, ‘ছেলে যেহেতু ভুল করেছে। আমরা মেনে নিয়েছি। ছেলে যদি বিয়ে করে আমাদের কোনো আপত্তি নাই। মেয়ের পরিবারের লোকজন আমাদেরকে ভয় দেখায়। আমরা থানায় একটি অভিযোগ করেছি।’
ওই এলাকার একাধিক প্রতিবেশী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান, ‘এলাকার এত ছেলে আছে অন্য কারও বাড়িতে তো মেয়েটি যায়নি। তাঁদের (প্রেমিকের) বাড়িতে উঠেছে। তাঁরা সমস্যার সুরাহা না করে এলাকাবাসিদেরকে প্রতিদিন গালি- গালাজ করছে। এলাকাবাসিদের মধ্যে শত শত মহিলা- পুরুষ গণস্বাক্ষর দিয়ে মেয়ের পরিবারকে দিয়েছে। তাঁরা (প্রেমিকার পরিবার) আইনি ব্যবস্থা নিক।’
প্রেমিকা (২০) বলেণ, ‘আমার জীবন শেষ করে দিয়েছে লেলিন। তাঁকে তাঁর পরিবারের লোকজন ভাগিয়ে দিয়েছে। আমি তো মেয়ে, আমার কী হবে। আমি খুব স্বাভাবিকভাবে বলছি আমার বিয়ে না হলে আমি আতœহত্যা করব।’
প্রেমিক আনিছুর রহমান লেলিন বলেন, ‘আমি চট্টগ্রামে আছি। আমার সাথে ওই মেয়ের কয়েকদিন আগে পরিচয়। বন্ধুর বোন হিসেবে কথা বলেছি। ওই মেয়ে যা বলেছে সব মিথ্যা। আমার ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতেছি। ওই মেয়ের সাথে আমার মিলেই হবে না। কখনোই বিয়ে করব না। জীবনই শেষ হবে তবু বিয়ে করব না। ষড়যন্ত্র করে মেয়েটিকে আমাদের বাড়িতে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। মামলা করে করুক, মামলা চালাব।’
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, ‘উভয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধিন রয়েছে।
এই বিভাগের আরও খবর