বার্তা অনলাইন ডেস্কঃ | ১৩ জুল, ২০২২, ১১:২৩ AM
নজিরবিহীন রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সঙ্কট ও বিক্ষোভে টালমাটাল শ্রীলঙ্কা। ইতোমধ্যে দেশটির প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে দেশ ছেড়ে পালিয়ে মালদ্বীপে গেছেন। এরই মধ্যে দেশটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রামাসিংহে। তবে জরুরি অবস্থা ভঙ্গ করে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাজধানী কলম্বোতে বিক্রামাসিংহের অফিসে ঢুকে পড়েছে। পার্লামেন্টের স্পিকার বিক্রামাসিংহেকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করার পরেই প্রতিবাদকারীরা তার দপ্তরের ভেতরে ঢুকে পড়লো। এর আগে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কয়েক দফায় কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় ছাড়াও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একটি টিভি চ্যানেলের অফিসের ভেতরেও ঢুকে পড়লে তার সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গেট ভেঙে ঢুকে পড়েছেন এবং সেখানে অবস্থান করছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এখন বিক্ষোভকারীর দখলে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। সেখানে বিক্ষোভকারীরা বিজয় উল্লাস করছেন, দেশটির পতাকা উড়াচ্ছেন, জয়ধ্বনি দিচ্ছেন। অনেক বিক্ষোভকারীকে প্রধানমন্ত্রীর বারান্দায় দাঁড়িয়ে আনন্দে চিৎকার করতে দেখা গেছে। এর আগে হাজার হাজার উত্তেজিত বিক্ষোভকারী দেশটির রাজধানী কলোম্বোতে কারফিউ উপেক্ষা করে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে অবস্থান নিলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে কাঁদানে গ্যাসের ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে গেছে পুরো এলাকা। নিরাপদে আশ্রয় নেবার জন্য মানুষজনকে দৌড়াতে দেখা গেছে। এ'সব ঘটনা ঘটছে যখন শ্রীলংকার বিরোধীদলগুলো একটি নতুন সরকার গঠনের লক্ষ্যে আলোচনা শুরু করেছে। কয়েক মাস ধরে দেশটিতে ভয়াবহ জ্বালানি, বিদ্যুৎ, খাদ্য ও ঔষধ সংকট চলছে। দেশটির ইতিহাসের সবচাইতে বড় অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের জন্য সেখানকার জনগণ রাজাপাকসে পরিবার ও তাদের অধীনে পরিচালিত প্রশাসনকে দায়ী করে আসছে। বিবিসি, এনডিটিভি। (সূত্র: ইত্তেফাক)