ঝিনাইদহ-৪-এর আওয়ামী লীগ এমপি আনোয়ারুলের মৃত্যুর খবরের পর অভিযানে নেমেছে পুলিশ। কলকাতার এক ফ্ল্যাটে চলছে তল্লাশি।
কলকাতার উপনগরী নিউ টাউনের অ্যাকশন এরিয়া এক-এ সঞ্জীব গার্ডেনসের একটি ফ্ল্যাটে পুলিশ এই অভিযান চালাচ্ছে। এখন পুলিশের একটি বড় দল সেখানে আছে। কিন্তু তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
সূত্র জানাচ্ছে, এখনো পর্যন্ত আনোয়ারুল আজিমের দেহ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এই আবাসনের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, আনোয়ারুলের সঙ্গে কয়েকজন ওই আবাসনে ঢুকছেন। পরে তারা সেই আবাসন থেকে চলে যায়। কিন্তু আনোয়ারুল যাননি।
পুলিসের সূত্র জানাচ্ছে, আবাসনের একটি ফ্ল্যাটে তারা রক্তের দাগ পেয়েছেন। পুলিশের সন্দেহ, সেটা আনোয়ারুলের হতে পারে। তবে পরীক্ষার পরই তারা এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারবেন। রক্তের দাগ, সিসিটিভি-র ফুটেজ, বিশেষ করে আনোয়ারুলের আবাসনে ঢোকা, কিন্তু না বেরোনোর ঘটনা থেকে পুলিশের প্রাথমিক সন্দেহ, তাকে খুন করা হতে পারে। তবে পুলিশ আগে দেহ খুঁজে বের করার উপর জোর দিচ্ছে।
দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশন ও কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনের তরফ থেকেও এমপি আনোয়ারুল আজিমের বিষয়ে কোনো কথা বলা হয়নি। কমিশনের সূত্র ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন, তারা গণমাধ্যম থেকে বিষয়টি জেনেছেন। সরকারের তরফ থেকে তাদের কাছে এখনো কোনো বার্তা আসেনি।
গত ১২ মে আনোয়ারুল আজিম চিকিৎসার জন্য কলকাতায় যান। ১৮ মে কলকাতায় তার পরিচিত গোপাল বিশ্বাস পুলিশে একটি ডায়েরি করেন। সেখানে বলা হয়, আনোয়ারুল ১৩ মে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তারপর আর ফেরেননি। তিনি ফোন করে জানিয়েছিলেন, বিশেষ কাজে দিল্লি যাচ্ছেন। ১৫ মে তিনি মেসেজ করে জানান, দিল্লিতে আছেন। ১৭ তারিখ থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
বুধবার গোপাল বিশ্বাসকে উদ্ধৃত করে কিছু গণমাধ্যম জানায় যে, পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে জানানো হয়েছে, কলকাতার একটি ফ্ল্যাট থেকে পুলিশ আনোয়ারুল আজিমের মৃতদেহ পাওয়া গেছে।