লালমনিরহাট বার্তা
গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় ত্রাণ বিতরণকারী ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের সাত কর্মী নিহত
ভয়েস অফ আমেরিকা | ৩ এপ্রি, ২০২৪, ৮:৪২ AM
গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় ত্রাণ বিতরণকারী ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের সাত কর্মী নিহত

ত্রাণ সংস্থা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন (ডব্লিউসিকে) মঙ্গলবার জানিয়েছে, গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় তাদের সাত কর্মী নিহত হয়েছে। সংস্থাটি ঘটনার পর ওই অঞ্চলে তাদের কাজ মুলতবি করেছে।

এক বিবৃতিতে ডব্লিউসিকে জানায়, তারা দেইর আল-বালাহর একটি গুদামে ১০০ টন খাদ্য সহায়তা সরবরাহ সম্পন্ন করে তাদের লোগো সম্বলিত দুটি সাঁজোয়া গাড়ির বহর নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করছিল। তারা অভিযোগ করেছে, ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে আগে থেকেই তাদের গতিবিধি সমন্বয় করা ছিল। তা সত্ত্বেও এই বিমান হামলা চালানো হয়েছে।

সংস্থাটি নিহতদের মধ্যে একজন ফিলিস্তিনি, অস্ট্রেলিয়া, পোল্যান্ড ও ব্রিটেনের নাগরিক এবং যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার দ্বৈত নাগরিক রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে।

ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানায় , মঙ্গলবার তারা “কয়েক ঘন্টার কঠিন অভিযানে” সাতটি মৃতদেহ উদ্ধার করতে সমর্থ হয়। পরে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে যাতে দক্ষিণ গাজার রাফা ক্রসিং দিয়ে সরিয়ে নেয়া যেতে পারে।

এই হামলাকে “ক্ষমার অযোগ্য” বলে মন্তব্য করেছেন ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের প্রধান নির্বাহী এরিন গোর।

তিনি আরও বলেন, এই যুদ্ধে কেবল আমাদের উপরই নয় সমস্ত মানবিক সংস্থাগুলোর উপর আক্রমণ করা হচ্ছে। এই যুদ্ধে খাদ্যকে যুদ্ধের অস্ত্রের মতন ব্যবহারের ভয়ংকর অমানবিক ঘটনা ঘটছে।

ডব্লিউসিকে'র প্রতিষ্ঠাতা হোসে আন্দ্রেসও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেছেন, গাজায় আইডিফের হামলা হৃদয়বিদারক এবং তিনি এতে তার প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের হারিয়ে শোকাহত ।

আন্দ্রেস বলেন, এই নির্বিচার হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হবে ইসরাইল সরকারের। মানবিক ত্রাণের সুযোগ কাজে লাগিয়ে বেসামরিক নাগরিক ও ত্রাণকর্মীদের হত্যা বন্ধ করতে হবে। খাদ্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা বন্ধ করতে হবে। অভিন্ন মানবতাই কেবল শান্তি আনতে পারে। আর তা এখনই আমাদের শুরু করা উচিত। যাতে আর কোন নিরীহ প্রাণহানি না ঘটে।

গাজায় অতি প্রয়োজনীয় খাবার যোগানের কাজে তারা বর্তমানে সামুদ্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যবহার শুরু করেছে। সড়কপথে খাদ্য চালানের ট্রাক প্রবেশে ইসরাইলি বাহিনীর কারণে নিরাপদ প্রবেশাধিকারের অভাবের অভিযোগ তুলে আসছে মানবিক চালান নিয়ে আসা সংস্থাগুলি।

এদিকে মঙ্গলবার ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) প্রধান মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, তিনি আন্দ্রেসের সাথে কথা বলেছেন সেনাবাহিনীর "গভীর সমবেদনা" প্রকাশ করেছেন। সেই সাথে তারা কিভাবে কি ঘটেছে তা “সর্বোচ্চ পর্যায়ে” তদন্ত করে দেখছেন।

সেদিনই জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস বলেন, তিনি এই হামলায় “ক্ষুব্ধ”। তাছাড়া এ ব্যাপারে দায়ীদের কর্মকাণ্ডকে “অসমর্থনযোগ্য” বলে অভিহিত করেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।

এই বিভাগের আরও খবর