লালমনিরহাট বার্তা
রংপুরে ভূমিহীনদের পুনর্বাসনসহ তিন দফা বাস্তবায়নের দাবিতে মিছিল সমাবেশ ও স্মারকলিপি পেশ
রংপুর অফিস | ১ অক্টো, ২০২৩, ১২:২৫ PM
রংপুরে ভূমিহীনদের পুনর্বাসনসহ তিন দফা বাস্তবায়নের দাবিতে মিছিল সমাবেশ ও স্মারকলিপি পেশ

রংপুরে ভূমিহীনদের পুনর্বাসনসহ তিন দফা বাস্তবায়নের দাবিতে মিছিল সমাবেশ ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেছে। রোববার সকাল ১১টায় ভূমিহীন ও গৃহহীন সংগঠন রংপুর এর উদ্যোগে পুনর্বাসনসহ তিন দফা দাবিতে মিছিল সমাবেশ ও স্মারকলিপি পেশের কর্মসূচি পালিত হয়।

রংপুর প্রেসক্লাব হতে মিছিল শুরু করে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।এখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সংগঠনের প্রধান সংগঠক আনোয়ার হোসেন বাবলুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগঠক আহসানুল আরেফিন তিতু, বিউটি আক্তার,আনোয়ারা বেগম,শাহীনুর বেগম,সাজু মিয়াসহ আরও ভূমিহীন নেতৃবৃন্দ।

বক্তারা বলেন-রংপুর সিটি কর্পোরেশন এবং এর আশেপাশের উপজেলার কয়েক সহস্্র ভূমিহীন ও গৃহহীন ছিন্নমূল, ঠিকানাবিহীন পরিবার খাস জমিতে তাদের পুনর্বাসনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে। পরিবারগুলো নদী ভাঙ্গনে সর্বস্ব হারিয়ে অভাবের তাড়নায় ভিটামাটি হারিয়ে নিঃস্ব বা জন্ম গত ভাবে ভূমিহীন ও গৃহহীন।এসব পরিবারের বিরাট অংশ সড়ক মহাসড়কের ধারে,রেললাইনের ধারে মাটি ভাড়া নিয়ে চালাঘর করে বা ঘর ভাড়া নিয়ে একই ঘরে ১০/১২ জন মিলে থেকে মানবেতর জীবনযাপন করছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০২২ সালের মধ্যে মুজিববর্ষে দেশের সকল ভূমিহীনদের পুনর্বাসনের আশ্বাসে রংপুরের ভূমিহীন গৃহহীনরাও আশায় বুক বেঁধেছিলো।ইতিমধ্যে অন্যের জমিতে ভাড়ায় ঝুপড়ি ঘরে বসবাসকারী ভূমিহীনদের জমির মালিক/দখলদাররা উচ্ছেদ শুরু করেছে।ইতিপূর্বে ভূমিহীনদের সংগঠন ভূমিহীন ও গৃহহীন সংগঠন, রংপুরের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের কাছে রংপুর সিটি কর্পোরেশনসহ বিভিন্ন উপজেলার ৫ সহ¯্রাধিক ভূমিহীন পরিবারের তালিকা ভোটার আইডি কার্ডসহ জমা দেওয়া হয়।জেলা প্রশাসক তাদের জানান সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ভূমিহীনদের পুনর্বাসনে বাধা আছে।কারণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সকল খাস জমি অকৃষি।এসব ভূমিহীনদের উপজেলায় পুনর্বাসনের কথা জেলা প্রশাসক বলেন।আমরা সিটি এলাকার সীমানায় যেতে আগ্রহীদের তালিকা করে জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দিয়েছি।অতি দ্রæত এসব ভূমিহীনদের পুনর্বাসনের জন্য কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করার আহ্বান জানাচ্ছি।এর বাইরে যে ভূমিহীনরা আছে যাদের উপজেলায় যাওয়ার উপায় নাই(কারণ উপজেলায় এদের কাজ নেই(যেমন গৃহ পরিচারিকা,ভাংড়ি শ্রমিক,পরিচ্ছন্নতা কর্মী,রিক্সা চালক,দোকান কর্মী পুস্তক বাঁধাই ও ছাপাখানা শ্রমিক) তাদেরকে পুনর্বাসনের জন্য সিটি কর্পোরেশনের অভ্যন্তরে স্বনামে,বেনামে বিত্তবানদের নামে থাকা খাস জমির বরাদ্দ বাতিল করে তদস্থলে বহুতল ভবন নির্মান করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে উদ্যোগ গ্রহন করবেন।গ্রামে বছরে তিন মাস কৃষিকাজ ছাড়া অন্য কাজের সুযোগ নেই বললেই চলে।তাই জীবন বাঁচানোর তাগিদে শহরে বসবাসকারী ভূমিহীনদের উপজেলায় ঘরবাড়ির ব্যবস্থা করলে পরিবার পরিজন নিয়ে তাদের না খেয়ে থাকতে হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল পণ্যের দাম গরীব মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে।মাছ মাংস এখন গরীব মানুষ শুধু স্বপ্নে দেখে।লবন মরিচ দিয়ে যে ভাত খাবে সে পরিস্থিতিও আর থাকছে না।অবিলম্বে পাড়ায় পাড়ায় ট্রাকসেলের ব্যবস্থা করতে হবে।গরীর মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে জিনিসপত্রের দাম আনতে হবে এবং আর্মি-পুলিশের রেটে ভূমিহীনসহ সকল নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য রেশনের ব্যবস্থার দাবী জানান।

এই বিভাগের আরও খবর