ভোটের কাজে ব্যস্ত তৃণমূলের সব বড় নেতা। তাই দলীয় প্রতিনিধি হিসাবে জোড়াসাঁকোর তৃণমূল বিধায়ক বিবেক গুপ্তকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
লোকসভা ভোটের আবহেই বৈঠকে বসছে বিরোধী জোট। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) তরফে রাঁচীতে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। সেই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, দেশের সব বিরোধী রাজনৈতিক দলকে। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বাংলার শাসকদল তৃণমূলকেও। কিন্তু ভোটের কাজে ব্যস্ত তৃণমূলের সব বড় নেতা। তাই দলীয় প্রতিনিধি হিসাবে জোড়াসাঁকো তৃণমূল বিধায়ক বিবেক গুপ্তকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রবিবার তিনি রাঁচীতে ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করবেন বলে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে। ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু পর এই প্রথম বৈঠকে বসছেন বিরোধী নেতারা। এর আগে শেষ বার মার্চ মাসের ৩১ তারিখে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া-র বৈঠক বসেছিল দিল্লিতে। সে বার তৃণমূলের তরফে ওই বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। এ বার বিরোধী জোটের বৈঠকে বাংলার শাসকদলের প্রতিনিধি হবেন বিবেক।
প্রসঙ্গত, গত বছর পটনায় প্রথম জোটের বৈঠক হয়েছিল। পরে দিল্লি, বেঙ্গালুরু, মুম্বইয়েও জোটের বৈঠক হয়েছে। ঝাড়খণ্ডে বিরোধী জোটে লড়াই করছে জেএমএম-আরজেডি ও কংগ্রেস। এ বছর ৩১ জানুয়ারি জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেনকে গ্রেফতার করে ইডি। তিনি পদত্যাগ করেন মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে। সেই সময় তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। হেমন্তকে সমর্থন জানিয়ে পাশে ছিল কংগ্রেসও। যে কারণে রবিবারের জোটের বৈঠকে শামিল হতে পারেন রাহুল গান্ধী। জেএমএমের তরফে এই বৈঠকের ডাক দিয়েছেন হেমন্তের স্ত্রী কল্পনা। রাজধানীর রাজনীতির কারবারিদের মতে, সব বিরোধী জোটের নেতারা কল্পনাকে পাশে থাকার বার্তা দিতেই রাঁচীর বৈঠকে যোগদান করবেন। কারণ, হেমন্তের জেলে যাওয়ার পর কল্পনার মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার কথা থাকলেও, অন্তর্দলীয় কোন্দলে তেমনটা সম্ভব হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন জেএমএমের প্রবীণ নেতা চম্পাই সোরেন। তাই এ বার দলের রাশ কল্পনার হাতে তুলে দিতে চান হেমন্ত। যত দিন না তিনি জেলের বাইরে আসছেন, তত দিন কল্পনাকে সামনে রেখেই এগোতে চাইছে জেএমএম। লোকসভা ভোটের আবহে বিজেপি বিরোধী সব রাজনৈতিক শক্তিকে এক মঞ্চে হাজির করিয়ে আগামী দফার ভোটের দিনগুলিতে প্রভাব তৈরি করতে চাইছে জেএমএম।