রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের পুরো সময়টা প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন রেজনিকভ। তাকে সরিয়ে দিয়ে উমেরভকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী করা হলো।রেজনিকভের বিরুদ্ধে ঘুসকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল। রোববার রাতের ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি জানিয়েছেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে রেজনিকভকে সরিয়ে দিয়েছেন তিনি।
জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ''গত ৫৫০-এরও বেশিদিন ধরে চলা রাশিয়ার বিরুদ্ধে পুরোদস্তুর যুদ্ধের সময় রেজনিকভ প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু এখন যুদ্ধের ক্ষেত্রে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দরকার। সেনা ও সমাজের সঙ্গে নতুনভাবে যোগাযোগ দরকার।''
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ''আমি উমেরভকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী করেছি। আমি আশা করি, পার্লামেন্ট তার নাম অনুমোদন করবে।'' গত জানুয়ারিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে ঘুসের অভিযোগ উঠেছিল। তারপর প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী ইস্তফা দেন। এবার সরিয়ে দেয়া হলো রেজনিকভকে।
রজনিকভ ইউক্রেনের সরকারি সংবাদসংস্থাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ''আগামী বসন্তের মধ্যে ইউক্রেন ৫০টি এফ১৬ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করতে পারবে।''
তিনি জানিয়েছেন, ''এই যুদ্ধবিমান নেদাল্যান্ডস, ডেনমার্ক ও নরওয়ে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।''জেলেনস্কি ১৭০টি এফ১৬ যুদ্ধবিমান চেয়েছিলেন। তিনি এই প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন, এফ১৬ দিয়ে রাশিয়ায় আক্রমণ করা হবে না। ইউক্রেন নিজের প্রতিরক্ষার জন্য এই যুদ্ধবিমান ব্যবহার করবে।
রাশিয়ার ড্রোন ধ্বংস
রাশিয়ার ২২টি ড্রোন ওডেসায় ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করলো ইউক্রেন। তাদের দাবি, এই ড্রোনগুলি ইরানে তৈরি। রোববার রাতে তিন ঘণ্টা ধরে তা ধ্বংস করা হয়। রাশিয়ার এই ড্রোন হামলায় দুইজন আহত হয়েছেন এবং কিছু পরিকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। এখানকার বন্দরগুলি ইউক্রেনের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই বন্দর ব্যবহার করে বাইরের দেশে খাদ্যশস্য পাঠায় ইউক্রেন।
মাক্রোঁ-জেলেনস্কি কথা
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁর সঙ্গে ফোনে কথা বললেন জেবেলস্কি। কৃষ্ণসাগর দিয়ে খাদ্যশস্য পাঠানোর বিষয়টি নিয়েই তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে আগে এই বিষয়ে সমঝোতা হয়েছিল। কিন্তু এখন রাশিয়া সেই সমঝোতা থেকে সরে এসেছে।
জেলেনস্কি বলেছেন, ''আমরা কৃষ্ণসাগরে খাদ্যশস্য করিডোর খোলা রাখতে চাই। ওডেসার নিরাপত্তাও চাই। মাক্রোঁর সঙ্গে এই বিষয়ে পরবর্তী প্যাকেজ নিয়েও কথা বলেছি।''
এর্দোয়ান-পুটিন কথা
সোমবারই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুটিনের সঙ্গে বঠকে বসতে চলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান। দক্ষিণ রাশিয়ায় তারা মুখোমুখি বৈঠকে বসবেন।
এই বৈঠকেও কৃষ্ণসাগরের করিডোর চালু রাখা নিয়ে আলোচনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। গতবারও এই করিডোর চালু করা নিয়ে এর্দোয়ান উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন এবং পুটিনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন।