লালমনিরহাট বার্তা
বিজ্ঞান সম্মত ভাবে তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নসহ ৬ দফা দাবীতে তিস্তা লংমার্চ ও মহাসমাবেশ
বার্তা রিপোর্ট \ | ১৮ সেপ, ২০২১, ২:৫২ PM
বিজ্ঞান সম্মত ভাবে তিস্তা মহাপরিকল্পনা  দ্রুত বাস্তবায়নসহ ৬ দফা দাবীতে তিস্তা লংমার্চ ও মহাসমাবেশ
“ভাঙ্গন ঠেকাও, কৃষি বাচাঁও” রংপুর বিভাগের বৈষম্য রোধ, বিজ্ঞান সম্মত ভাবে মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নসহ ৬ দফাতে আগামী ১৫ নভেম্বর সকালে তিস্তা লং মার্চ ও দুপুরে রেলওয়ে সেতুর নিচে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
তিস্তা বাচাঁও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের আয়োজন গত ১৭ সেপ্টেম্বর রংপুর শহরের লালকুিঠ স্কুল এন্ড কলেজ মিলনায়তনে কেন্দ্রীর প্রতিনিধি সভায় এই কর্মসূচী ঘোষনা করেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানী।
সভায় সাধারন সম্পাদক শফিয়ার রহমান, ঘোষিত লং মার্চ ও মহাসমাবেশ সফল করার জন্য বৃহত্তর রংপুরের নীলফামারী, রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলায় প্রতিটি জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন কমিটি গঠন, বিশেষতঃ তিস্তা নদীর দুই পাড়ে ২শত ৩০ কিলোমিটার এলাকায় নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত ও চর অঞ্চলে বসবাসকারী জনগোষ্টিকে সংগঠিত করে কমিটি গঠন, কমিটি পুর্নগঠন, উঠান বৈঠক, হাট সমাবেশসহ নানামুখী গনসংযোগ ও প্রচারনা চালানোর আহবান জানান।
সংগঠনের স্টান্ডিং কমিটির সদস্য গেরিলা লিডার ড. এস এম শফিকুল ইসলাম কানু বলেন, রক্ত খচিত সংবিধান মোতাবেক দেশের প্রতিটি নাগরিক সংগঠিত ও দাবি আদায়ে স্বোচ্চার হওয়ার অধিকার রয়েছে। চরম বৈষমের শিকার রপুর অঞ্চলের মানুষ তাদের দাবি আদায়ে লংমার্চ ও মহাসমাবেশ কর্মসূচি ঘোষনা দিয়েছে। তিনি এই কর্মসূচীকে সফল করার জন্য দল-মত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
বক্তব্য রাখেন স্টান্ডিং কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী, সাদেকুল ইসলাম, মাইদুল ইসলাম মাহিদ, আব্দুল হাকিম, আমিন উদ্দিন, মাহমুদ আলম। আরও বক্তব্য রাখেন যমুনা টিভির রংপুর প্রতিনিধি মাজাহারুর ইসলাম, আবু হাসনাত কানন (কুড়িগ্রাম), আব্দুল কাদের মোল্লা (উলিপুর), পারভিন আক্তার (গঙ্গাচরা), আব্দুল রহিম মেম্বার ( লালমনিরহাট), গোলাম মোস্তফা (ডিমলা), মোশারফ হোসেন (রাজারহাট), বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক (কালীগঞ্জ), মাখন লাল দাশ (লালমনিরহাট), আশরাফুল ইসলাম (রাজারহাট), মুকুল ফকির ( পীরগঞ্জ), মোস্তাফিজুর রহমান (কাউনিয়া), নাজমুল করিম ডলার (হাতিবান্ধা), শহিদুল ইসলাম (জলঢাকা), নজরুল ইসলাম (কালীগঞ্জ), আব্দুস সালাম (জলঢাকা), আলমগীর হোসেন (ডিমলা), আশোক সরকার (রংপুর), রফিকুল ইসলাম (হাতিবান্ধা), রুহুল আমিন সরকার (নীলফামারী), আমিনুল ইসলাম মুন্না (গঙ্গাচরা), মোশাররফ হোসেন (হাতিবান্ধা) প্রমূখ।
এই কর্মসূচির তিস্তা নদীর প্রবেশ মুখ নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার কালিগঞ্জ এবং লালমনিরহাট জেলার তিস্তা ব্যারেজ থেকে হাতিবান্ধা-কালীগঞ্জ-আদিতমারী পয়েন্টে এবং গাইবান্ধা জেলার সুন্দর গঞ্জের দুই তীর অঞ্চল থেকে লংমার্চ যাত্রা করবে।
তিস্তার দুই তীরের জনপদ থেকে লংমার্চ রংপুর, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলার সংযোগস্থল তিস্তা রেল ব্রিজের চরাঞ্চলের মাঠে সমবেত হবে। এখানেই দুপুর ৩ টায় শুরু হবে মহাসমাবেশ। মহাসমাবেশে রংপুর বিভাগের ৫ জন মন্ত্রী, ২২ জন জাতীয় সংসদ সদস্য, সকল জন প্রতিনিধিসহ জাতীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে আমন্ত্রন জানানো হবে।
প্রতিনিধি সভায় সংগঠনের সভাপতি দাবী সমূহ তুলে ধরেন। দাবী গুলো হচ্ছে, তিস্তা নদীর সুরক্ষায় বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন, তিস্তা পানি বল্টন চুক্তি স্বাক্ষর, জলাধার নির্মাণ, তিস্তার ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরন প্রদান ও পুর্নবাসন, তিস্তা নদীর শাখা-প্রশাখা ও উপশাখা গুলোর সংগে নদীর পূর্বেকার সংযোগ স্থাপন, অবৈধ দখল ও স্থাপনা উচ্ছেদ, নৌ চলাচল চালু, তিস্তা তীরবর্তী কৃষকদের স্বার্থ সুরক্ষায় কৃষক সমবায় এবং কৃষিভিত্তিক শিল্পকারখানা গড়ে তোলা।
প্রতিনিধি সভায় বক্তারা বলেন চীন, ভারত, রাশিয়া, আমেরিকা বুঝিনা। পদ্মাসেতুর ন্যায় নিজস্ব অর্থায়নে ডিসেম্বর ২০২১ এর মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু করতেই হবে। সেই সাথে রংপুর অঞ্চলের প্রায় ২ কোটি মানুষের বঞ্চনা ও বৈষম্য দুর করতে বিশেষ প্রকল্প গ্রহনের মাধ্যমে অন্যান্য অঞ্চলেন সাথে সমতা আনায়ন করতে হবে। এই অনুষ্ঠানে স্লোগান ছিলো, রংপুর অঞ্চলের ৬ দফা দাবি মানতে হবে, মানতে হবে। তিস্তা পাড়ের কান্না, আর না আর না।
এই বিভাগের আরও খবর