লালমনিরহাট বার্তা
দেশের বাইরে খেলতে গেলে টাইগারদের এই হাল!
বার্তা অনলাইন ডেস্ক | ২১ অক্টো, ২০২৩, ৪:৪৪ AM
দেশের বাইরে খেলতে গেলে টাইগারদের এই হাল!

ঘরের মাঠে অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সব ফরম্যাটেই বিশ্বের যে কোনো দলকে চোখে চোখ রেখে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে এখানেই। তবে দেশের বাইরে খেলতে গেলে আর তেমনটি দেখা যায় না। ফলে বড় বড় টুর্নামেন্ট থেকে ফিরতে হয় ব্যর্থত হয়ে।

মূলত এর কারণ কী? বিভিন্ন সময় দেশের মাটির বাইরে টাইগাররা ব্যর্থ হয়ে অভিযোগ করে দেশের মাটিতে ভালো উইকেট না পাওয়ার বিষয়ে। তবে এটাই বাইরে খেলতে কি বাংলাদেশের দলের আশানুরূপ ফল না পাওয়ার রহস্য? ঘরের মাটিতে খেলোয়াড়দের ভালো উইকেট না পাওয়ার আক্ষেপ অনেক আগে থেকেই। এখানে শুধু নিজেদের সাফল্য ধরে রাখতেই বানানো হয় স্লো উইকেট। যেখানে ব্যাটারদের থেকে বোলারদের দাপট দেখা যায় বেশি। তবে দেশের বাইরে গেলেই দলের পারফরম্যান্সে ভাটা পড়ে। কারণ সেখানে দলের সঙ্গে থাকে না অদৃশ্য সেই উইকেট চিটকোড। তবে এখন খেলোয়াড়ররাও চায় ভালো ম্যাচ খেলতে, অনুশীলন করতে।

এর আগে ভালো উইকেটে খেলতে চান বলে দেশ সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, তারকা পেসার তাসকিন আহমেদসহ অনেক সিনিয়র ক্রিকেটার জানিয়েছিলেন। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো দলের আরেক ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত। গত পরশু ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ হারার পর সংবাদ সম্মেলনে এসে ভালো উইকেটে খেলার আকুতি জানান এই ব্যাটার।

ভারতে চলমান এই বিশ্বকাপে যে ব্যাটাররাই দলের মূল হাতিয়ার হবে এই বিষয়টি আগে থেকেই অনুমেয় ছিল। এখানের প্রতিটা স্টেডিয়াম ব্যাটিং সহায়ক। এখানে ৩০০ রানের নিচে সংগ্রহ নিয়ে যে কোনো দলকেই চ্যালেঞ্জ জানানো অগ্নিপরীক্ষার সমান। তাই সব দলই বড় সংগ্রহ করতে প্রাণপণ চেষ্টা চালায় ম্যাচে। তবে ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাটারদের বেলায়। তারা ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে নেমেও টিকে থাকার লড়াই চালিয়ে যান প্রতি ম্যাচে, তবুও রক্ষা হয় না; তাদের রান পাওয়া তো বেশ দূরের বিষয়।

এর আগে ভালো উইকেটে খেলতে চান বলে দেশ সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, তারকা পেসার তাসকিন আহমেদসহ অনেক সিনিয়র ক্রিকেটার জানিয়েছিলেন। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো দলের আরেক ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত। গত পরশু ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ হারার পর সংবাদ সম্মেলনে এসে ভালো উইকেটে খেলার আকুতি জানান এই ব্যাটার।

ভারতে চলমান এই বিশ্বকাপে যে ব্যাটাররাই দলের মূল হাতিয়ার হবে এই বিষয়টি আগে থেকেই অনুমেয় ছিল। এখানের প্রতিটা স্টেডিয়াম ব্যাটিং সহায়ক। এখানে ৩০০ রানের নিচে সংগ্রহ নিয়ে যে কোনো দলকেই চ্যালেঞ্জ জানানো অগ্নিপরীক্ষার সমান। তাই সব দলই বড় সংগ্রহ করতে প্রাণপণ চেষ্টা চালায় ম্যাচে। তবে ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাটারদের বেলায়। তারা ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে নেমেও টিকে থাকার লড়াই চালিয়ে যান প্রতি ম্যাচে, তবুও রক্ষা হয় না; তাদের রান পাওয়া তো বেশ দূরের বিষয়।

আসরের প্রথম ম্যাচে ধর্মশালায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে দাপট দেখিয়েই জিতেছিলেন টাইগাররা। সে সময় শোনা গিয়েছিল মিরপুরের উইকেটের সঙ্গে সেখানকার উইকেট মিল রয়েছে। যদিও একই মাঠে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বড় হার দেখে তারা। তবে আসরের পরের দুটি ম্যাচ ছিল চেন্নাই ও পুনেতে। এই দুটি মাঠই ছিল ব্যাটারদের স্বর্গরাজ্য তবে ব্যর্থ টাইগাররা। বিশ্বকাপে টাইগারদের কেন—এই হাল অবশেষে জানালেন টাইগার ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত।

চলমান বিশ্বকাপে বাংলাদেশের নিজেদের চতুর্থ ম্যাচ খেলতে গত পরশু স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল। এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে টাইগার ব্যাটাররা শুরুটা ভালো করলেও মিডল অর্ডারে ধসে পড়েছে। আর সেখানেই তাদের হাত থেকে ম্যাচ ছুটে গিয়েছে। শেষ অবদি কোনো মতে টেনে টুনে ২৫৬ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। জবাবে পুনের ব্যাটিং রাজ্যে কীভাবে ব্যাট করতে হয় দেখান স্বাগতিকরা।

ওপেনিংয়ে রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল পরে বিরাট কোহলি এই তিন ব্যাটারের প্রদর্শনীতেই সহজেই ৫১ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে জয় তুলে নেন স্বাগতিকরা। আর এমন হারের পরই টাইগারদের এ ম্যাচে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা শান্ত আকুতি জানান ঘরের মাটিতেও ভালো উইকেটে অনুশীলন ও ম্যাচ খেলার।

বলেন, ‘আমার মনে হয় আমাদের ভালো উইকেটে খেলা উচিত। ভালো উইকেটে অনুশীলন করা উচিত। এরকম স্পোর্টিং উইকেটে, যে অভ্যাসটা আমাদের তুলনামূলক কম। এখানে আসলে স্কিলের থেকে মানসিক দিকটাই গুরুত্বপূর্ণ। এ দায়িত্বটা নেওয়া উচিত, কারণ এ ধরনের বোলারদের সামলানোর স্কিল সবারই আছে। তাই এই জায়গায় যদি আমরা একটু নজর দিই, তাহলে সামনে এই ভুল আর হবে না।’

মূলত ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে শুরু করে বিপিএল কিংবা আন্তর্জাতিক কোনো সিরিজ, বাংলাদেশ নিজেদের কন্ডিশনের দোহাই দিয়ে খেলে মন্থর উইকেটে। এমন উইকেটে খেলে ব্যাটারদের বড় শট খেলার ক্ষমতা সংকুচিত হয়ে যায়। এর আগে মিরপুরের উইকেট নিয়ে একবার তো সাকিব আল হাসান বলেই দিয়েছিলেন, ‘এমন উইকেটে টানা কয়েকটা সিরিজ খেললে ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়ে যাবে।’

এছাড়া ২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে গিয়ে তাসকিন আহমেদ মিরপুরের উইকেট নিয়ে কথা বলেছিলেন। সেই বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নেমে মাত্র ৮৪ রানেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। পরে এমন ব্যর্থতার বিষয়ে তাসকিন বলেছিলেন, ‘এখানকার উইকেট (টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের) মিরপুরের চেয়ে ভিন্ন। অনেক স্পোর্টিং। ভবিষ্যতে আরও ভালো উইকেটে খেলা হলে আমাদের বোলিং-ব্যাটিং দুটিতেই আরো উন্নতি হবে। ভবিষ্যতে ভালো উইকেটে খেললে ফল যা-ই হোক, বড় ইভেন্টগুলোয় সুবিধা হবে।’ সেই অভিযোগ গুলোর পরও উন্নতি ঘটেনি। এবার কি শান্তর ঘরের মাটিতে ভালো উইকেটে খেলতে চাওয়া পূরণ হবে নাকি দেখার বিষয়। 

এই বিভাগের আরও খবর