লালমনিরহাট বার্তা
রংপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের হাল ধরতে চান আওয়ামীলীগের এক ডজন নেতা
রংপুর অফিসঃ | ৭ সেপ, ২০২২, ১০:৪১ AM
রংপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের হাল ধরতে চান আওয়ামীলীগের এক ডজন নেতা

রংপুর জেলা পরিষদের নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। এ নির্বাচন ঘিরে বিভিন্ন মহলে চলছে আলোচনা।অনেকেই দর কষছেন অতীত ভবিষ্যৎ এর নানা হিসেব নিকেষ।অতিতের উন্নয়ন -মূল্যায়ন, স্বচ্ছতা আর জবাবদিহিতা কতটুকু পূরণ হলো তা নিয়ে চুল চেরা বিশ্লেষণ করছেন রংপুরের রাজনৈতিক মহল।আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রংপুর জেলা পরিষদের নির্বাচন। সময় কম কাজ বেশি।নগরী থেকে জেলার আট উপজেলা জুড়ে পাড়া-মহল্লায় এখন একটাই আলোচনা কে দলীয় মনোনয়নে হবেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।

রংপুরে গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বাইরে অন্য রাজনৈতিক জন প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে জেলার মিঠাপুকুর উপজেলায় ১৭টি ইউনিয়নের ৯টিকে জামায়াত-বিএনপি ভাগ বসিয়েছে।রংপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে এবার ব্যাপক কাঠ-খড় পোড়াতে হবে বলে মনে করছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতারা। কেন্দ্র থেকেই যোগ্য ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানিয়েছেন সরকার দলীয় রাজ নৈতিক নেতারা।

রংপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশির তালিকায় রয়েছেন, সাবেক জেলা পরিষদের প্রশাসক অ্যাডভোকেট ছাফিয়া খানম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দীন আহমেদ, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইলিয়াস আহমেদ,এ কে এম ছায়াদৎ হোসেন বকুল, জয়নাল আবেদীন, রোজী রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন মন্ডল মওলা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক লতিফা শওকত, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহ নবী উল্লাহ পান্না, রেজাউল ইসলাম মিলন, দিলশাদ ইসলাম মুকুল, মহানগর আওমী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আলেয়া খাতুন লাভলী, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাকিয়া সুলতানা চৈতী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম প্রামাণিক, সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী সুমনা আক্তার লিলি, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী পারভিন আক্তারসহ আরো কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা-নেত্রী।

জেলাপরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্য থেকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কে মনোনয়ন পাচ্ছেন সে বিষয়ে এখন বিভিন্ন পর্যায়ে চলছে আলোচনা।এ ক্ষেত্রে মনোনয়ন দিতে রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, দলের প্রতি অবদান, প্রার্থীর পারিবারিক ও রাজনৈতিক পরিচয়, বর্তমান সময় দলীয় কার্যক্রমে অংশ নেয়ার পাশাপাশি সম্ভাব্য প্রার্থীর দ্বারা দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কি না সেটিও বিবেচনার কথা তোলা হচ্ছে।

রংপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাকিয়া সুলতানা চৈতী বলেন, ছাত্র রাজনীতি করছি। বর্তমানে মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। এ ছাড়া বিভিন্ন সামাজিক ও সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত আছি।

রংপুর মহানগর আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি,পরিচালক, দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)সভাপতি, রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি বলেন, দলের জন্য সব সময় নিবেদিত হিসেবে কাজ করছি। দল যদি আমাকে মনোনীত করে আমি আশাবাদী চেয়ারম্যান পদে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবো।

রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট দিলশাদ ইসলাম মুকুল বলেন, জেলা পরিষদের মতো একটি যায়গায় আমার দায়িত্ব পালনের সুযোগ হলে দল সুসংগঠিত করতে তৃণমূল নেতাকর্মীদের সব সময় পাশে থাকবো।

রংপুর জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক অ্যাডভোকেট ছাফিয়া খানম বলেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে গত বারে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছিলেন।আমি নির্বাচিত হয়ে দেশের উন্নয়নকে এগিয়ে নেয়া সহ দলকে শক্তিশালী করতে চেষ্টা করেছি।আগামীতে মনোনয়ন পেলে নির্বাচিত হয়ে পিছিয়ে থাকা উপজেলা গুলোতে উন্নয়নের পরিকল্পনা করেছি।

জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ইলিয়াস আহমেদ বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে আমি নির্বাচিত হলে রংপুরের পিছিয়ে পরা দিক চিহ্নিত করে উন্নয়নের উদ্যোগ নেব।

রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজু বলেন, গত দিনের চেয়ে আসন্ন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচনটি বেশ প্রতিদ্বন্ধিতা হবে।গত নির্বাচনে বেশিরভাগ স্থানীয় সরকার দফতরে আওয়ামী লীগের জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচিত হয়েছেন।জেলার ইউনিয়ন পরিষদ গুলোতে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিএনপি, জামায়াত, জাসদ সহ অন্য দলের প্রার্থীরাও নির্বাচিত হয়েছেন।সরকার দলীয় মনোনয়ন পেলেও এবারের নির্বাচনের মাঠে প্রার্থীকে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একটি মনোনয়ন বোর্ড রয়েছে। বিগত দিনে দলের জন্য যাদের অবদান রয়েছে, সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে যারা রাজনীতি করেছেন তাদেরকেই জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নে প্রাধান্য দেয়া হবে বলে আমার বিস্বাস।

এই বিভাগের আরও খবর