আগামী ১ জুন রংপুর বিভাগের বৈষম্য হঠাও, দরিদ্র কমাও এবং পদ্মা সেতুর মতো নিজস্ব টাকায় তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে এবারের বাজেটে অর্থ বরাদ্ধের দাবীতে ৫ মিনিট স্তব্ধ রংপুর কর্মসূচী পালিত হবে। এই কর্মসূচী সফল করার লক্ষ্যে ২৪ মে বিকালে তিস্তা তীরবর্তী রাজপুর ইউনিয়নের জগৎবের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতিত্ব করেন সেনা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট সাইফুল ইসলাম। প্রধান অতিথি ছিলেন, তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সহ-সভাপতি এ্যাড. চিত্তরঞ্জন রায়। বক্তব্য রাখেন জেলা কমিটির সভাপতি গেরিলা লিডার শফিকুল ইসলাম কানু, সহ-সভাপতি নাট্যকার মাখন লাল দাস, গোকুন্ডা ইউনিয়ন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, রাজপুর ইউনিয়নের প্রাক্তন ইউপি সদস্য কার্তিক বসুনিয়া, বর্তমান মহিলা ইউপি সদস্য নাজমা বেগম, সদস্য আব্দুস সালাম, রাজপুরের ডা. আপেল সরকার প্রমূখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন গোকুন্ডা ইউনিয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাসুম মিয়া। অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন মাওলানা নইমুদ্দিন, গীতা পাঠ করেন বিমল চন্দ্র রায়।
বক্তাগণ আগামী ১ জুন বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় নিজ নিজ এলাকার রাস্তায় দাড়িয়ে গণ দাবির প্রতি সংগতি ও সমর্থন জানানোর আহবার জানান। ঐদিন সকাল ১১ থেকে ১১টা ০৫ মিনিট পর্যন্ত রংপুরাঞ্চলে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা দোকান খোলা রেখে, বেচা বিক্রি বন্ধ করে রাস্তায় দাড়াবেন। তাছাড়াও তিস্তা নদী তীরবর্তী এলাকাসহ অন্যান্য অঞ্চলের মানুষজন একে অপরের হাত ধরে পাঁচ মিনিট দাড়িয়ে থাকবেন।
এই কর্মসূচীর সফল বাস্তবায়নে সেনা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট সাইফুল ইসলামকে সভাপতি, ব্যবসায়ী মজিদুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক, মঞ্জুরুল হককে সাংগঠনিক সম্পাদক, ডা. আপেল সরকারকে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও পরিমল চন্দ্রকে কোষাধ্যক্ষ মনোনিত করে উপস্থিত সকল ব্যক্তিদের সমন্বয়ে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়ন কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি রাজপুর ইউনিয়নের আগ্রহী ব্যক্তিদের কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করতে পারবেন।
