জয় দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। তবে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টানা দুই হারে অনেকটা পিছিয়ে সাকিব আল হাসানের দল। তবুও বিশ্বকাপে টানা তিন জয় পাওয়া স্বাগতিক ভারত বিপক্ষে জয়ের প্রত্যাশা নিয়ে মাঠে নামবে টাইগাররা।বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) পুনেতে মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এমসিএ) স্টেডিয়ামে মাঠে নামছে বাংলাদেশ ও ভারত। দুই দলের ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর ২টা ৩০। ভারতের বিপক্ষে ৪০ বার দেখায় পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। ভারতের ৩১ জয়ের বিপরীতে বাংলাদেশের জয় মাত্র ৮ বার। একটি ম্যাচ হয়েছে বাতিল। তবে সর্বশেষ ৪ দেখায় টাইগাররা জিতেছে ৩ ম্যাচে।

ওয়ানডে বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত চারবার দেখা হয়েছে দুই দলের। তাতেও এগিয়ে ভারত। ২০০৭ সালে দুই দলের প্রথম সাক্ষাতেই কেবল জয় পায় টাইগাররা। এরপর বাকি তিন দেখায় হেরেছে বাংলাদেশ। তবে ২০১৫ বিশ্বকাপের ম্যাচ ছিল বহু বিতর্ক। দুই দলের মুখোমুখি সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ভারতের দখলে। সর্বশেষ দেখায় সর্বোচ্চ ৪০৯ রান সংগ্রহ করেছিল টিম ইন্ডিয়া। আর বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ৩০৭।

ব্যক্তিগত রানের হিসেবেও এগিয়ে ভারতই। ইশান কিষানের ব্যাট থেকে এসেছে ডাবল সেঞ্চুরি। তার সর্বোচ্চ সংগ্রহ ২১০ রান। বাংলাদেশের পক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১২১ রান লিটন দাসের। সর্বোচ্চ ব্যবধানের জয়ের ক্ষেত্রেও বেশ এগিয়ে ভারত। ২২৭ রানে জয় পেয়েছে তারা। আর বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জয় ৭৯ রানে। ব্যক্তিগত রেকর্ডের দিক থেকেও এগিয়ে ভারত। সবচেয়ে বেশি শতকের মালিক ভারতীয় ব্যাটার বিরাট কোহলি। বাংলাদেশের বিপক্ষে ৪টি শতক আছে তার। এরপরই আছেন রোহিত শর্মা। ৩টি শতকের মালিক তিনি। বাংলাদেশের হয়ে ১টি করে শতক পেয়েছেন মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, অলক কাপালি এবং মেহেদী হাসান মিরাজ।

সবচেয়ে বেশি রানের ক্ষেত্রেও এগিয়ে কোহলি। টাইগার বোলারদের বিপক্ষে ৮০৭ রান আছে তার। বিপরীতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক সাকিব আল হাসান। ভারতের বিপক্ষে তার রান ৭৫১।

সবচেয়ে বেশি উইকেটের তালিকায় আধিপত্য অবশ্য বাংলাদেশের। দুই দলের লড়াইয়ে সাকিব আল হাসান নিয়েছেন ২৯ উইকেট। এরপরেই আছেন মুস্তাফিজ। তার উইকেট ২৫টি। সেরা চারে নেই কোন ভারতীয়। পাঁচ নাম্বারে অবশ্য পাওয়া যাবে অজিত আগারকারের নাম। ভারতীয় দলের বর্তমান প্রধান নির্বাচকের নামের পাশে উইকেট আছে ১৬টি।