লালমনিরহাট বার্তা
ভবিষ্যৎ নির্ধারণে ভোট দিচ্ছেন তুরস্কের জনগণ
ডয়চে ভেলে | ১৪ মে, ২০২৩, ৯:৫১ AM
ভবিষ্যৎ নির্ধারণে ভোট দিচ্ছেন তুরস্কের জনগণ

তুরস্কের রেচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ান- কি নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসবেন নাকি প্রেসিডেন্ট পদে বিরোধী প্রার্থী কিরিচদারোলুর ? এই প্রশ্নই এখন সবার মনে ঘুরপাক খাচ্ছে।

তুর্কি ভোটাররা প্রেসিডেন্ট এমন একটা সময়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, যার তিন মাস আগেই ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে গিয়েছিল দেশ।

বিভিন্ন জরিপে বিরোধী প্রার্থী ধর্মনিরপেক্ষ রিপাবলিকান পিপলস পার্টির নেতা (সিএইচপি) কেমাল কিরিচদারোলু বর্তমান প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ানের থেকে সামান্য এগিয়ে রয়েছেন।

মূল লড়াইটা হচ্ছে পিপলস অ্যালায়েন্স যাতে রয়েছে এর্দোয়ানের ইসলামপন্থি রক্ষণশীল একে পার্টি, ন্যাশনালিস্ট এমএইচপি এবং অন্য কয়েকটি দল। অন্যদিকে, কিরিচদারোলুর জোটে রয়েছে তুরস্কের প্রবাদপ্রতিম নেতা মুস্তাফা কামাল আতাতুর্ক প্রতিষ্ঠিত ধর্মনিরপেক্ষ রিপাবলিকান পিপলস পার্টিসহ ছয়টি দলের জোট।

প্রেসিডেন্ট এবং সংসদ উভয়ই পাঁচ বছরের মেয়াদের জন্য নির্বাচিত করা হবে৷ প্রথম রাউন্ডে প্রেসিডেন্ট পদে জিততে হলে প্রার্থীকে প্রাপ্ত ব্যালটের ৫০ ভাগের বেশি ভোট পেতে হবে৷ যদি কোনো প্রার্থী তা অর্জন না করে, তাহলে ২৮ মে দুই নেতৃস্থানীয় মধ্যে একটি রানঅফ অনুষ্ঠিত হবে।

প্রায় ৬ দশমিক ৮ কোটির বেশি তুর্কি ভোটার এক লাখ ৯২ হাজার ভোটকেন্দ্রে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করছেন৷ ৬০ লাখেরও বেশি ব্যক্তি প্রথমবারের মতো ভোট দিচ্ছেন। বিদেশে ভোটার রয়েছে ৩৪ লাখ।

তুরস্কের নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। ২০১৮ সালে প্রায় ৮৭ ভাগ ভোট দিয়েছিলেন। নির্বাচনের দিন তুরস্কে মদ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

বেশিরভাগ জার্মান কিরিচদারোলুকে চায়

একটি সমীক্ষা বলছে, জার্মানির দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ বলছেন, দুই দশক ক্ষমতায় থাকার পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ানকে আর এই পদে দেখতে চান না।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইউগভের দেশব্যাপী সমীক্ষায় জিজ্ঞাসা করা হয়েছে- ‘আগামী রোববার, তুরস্কে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ আপনি কি প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ানকে পুনরায় নির্বাচিত বা দেখতে চান নাকি এর্দোয়ানের ক্ষমতাচ্যুত হওয়া দেখতে চান?'

প্রায় ৭০ ভাগ উত্তরদাতারা বলেছিলেন, এর্দোয়ানের সরে যাওয়া উচিত৷ ১০ ভাগ ভেবেছিল ইসলামপন্থি এই নেতার থাকা উচিত। অন্য ২০ ভাগ বলেছেন যে ,তারা জানেন না বা কোন উত্তর দেননি৷জার্মানিতে প্রায় ১৫ লাখ নিবন্ধিত তুর্কি ভোটার রয়েছে, তারা ভোটে অংশগ্রহণকারী বৃহত্তম প্রবাসী। যদিও এর্দোয়ান এবং তার একেপি পার্টির সমর্থকরা প্রায়ই জার্মানিতে বিতর্ক তৈরি করেছে। কিন্তু তুরস্কের এই নেতার পক্ষে বিশাল সমর্থন রয়েছে।

জার্মান বুন্দেসটাগের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান মাইকেল রথ বলেছেন, দুই দশক পর গণতান্ত্রিকভাবে এর্দোয়ানকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য বিরোধীদের জন্য ‘সম্ভবত শেষ সুযোগ' এই নির্বাচন।

রথ জার্মান মিডিয়া গ্রুপ আরএনডিকে বলেছেন, নির্বাচন খুব সম্ভবত সুষ্ঠু হবে না৷ এর্দোয়ান এবং তার সমর্থকরা গণতন্ত্র, নির্বাচন কমিশন এবং বিচারবিভাগের উপর তাদের দখল বজায় রেখেছে। রথ বলেছেন, রাশিয়া বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণার মাধ্যমে এর্দোয়ান-বিরোধীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে৷ রথ জানান, ‘‘দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং আর্থিক পরিস্থিতি ধ্বংসাত্মক অবস্থায় রয়েছে।''

এই বিভাগের আরও খবর