লালমনিরহাট বার্তা
বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে ইরান
বার্তা অনলাইন ডেস্কঃ | ১১ অক্টো, ২০২২, ৫:০৯ AM
বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে ইরান

ইরানে চলমান বিক্ষোভে ১৯ শিশুসহ দেড় শতাধিক নিহত হয়েছে। মাশা আমিনি হত্যার ন্যায়বিচারের দাবিতে সাকেজ শহরে শুরু হওয়া বিক্ষোভের আগুন এখন ইরান জুড়ে জ্বলছে। বিক্ষোভকারীরা সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির পতন দাবি করেছেন। এদিকে ইরানে দমনাভিযানে জড়িতদের ওপর ইউরোপিয় ইউনিয়নের (ইইউ) নিষেধাজ্ঞা দাবি করেছে জার্মানি।

পুলিশি হেফাজতে মাশা আমিনির মৃত্যুকে ঘিরে ইরান জুড়ে টানা চার সপ্তাহ ধরে সরকারবিরোধী যে বিক্ষোভ চলছে তাতে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৮৫ জন প্রাণ হারিয়েছে বলে জানিয়েছে একটি মানবাধিকার সংগঠন। নিহতদের মধ্যে ১৯ শিশুও রয়েছে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর ২২ বছরের মাশার জানাজার দিন থেকে এ বিক্ষোভের শুরু হয়। তার এক দিন আগে মারা যান মাশা। তবে পুলিশ বলছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাশা মারা গেছেন। মাশা হত্যার ন্যায়বিচারের দাবিতে সাকেজ শহরে যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল তার আগুন এখন পুরো ইরান জুড়ে জ্বলছে। কয়েক বছরের মধ্যে ইরানে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া এই বিক্ষোভ দেশটির ধর্মীয় নেতাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, রবিবার সকালেও ইরানের কয়েক ডজন নগরীতে বিক্ষোভ হয়। যে বিক্ষোভে শত শত স্কুলছাত্রী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।

এদিকে নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাব উত্থাপন করা দেশগুলো চায় আগামী ১৭ অক্টোবরের বৈঠকে ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুক। ইরানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে সহিংস দমনাভিযান চালানোর জন্য দায়ীদের ইউরোপিয় ইউনিয়নে (ইইউ) প্রবেশ নিষিদ্ধ করাসহ তাদের সম্পদ জব্দ চায় জার্মানি। ইইউর এমন পদক্ষেপ গ্রহণ জার্মানি নিশ্চিত করবে বলে রবিবার এক জার্মান পত্রিকায় জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানালিনা ব্যারবক। বিক্ষোভকারীদের ওপর এই দমনপীড়নের জেরে ইরানের বিরুদ্ধে নতুন ইইউ নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য এরই মধ্যে ১৬টি প্রস্তাব দিয়েছে জার্মানিসহ ফ্রান্স, ডেনমার্ক, স্পেন, ইতালি এবং চেক প্রজাতন্ত্র। জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা গত সপ্তাহে একথা জানান। 

এদিকে মাশার চাচাতো ভাই এরফান মোর্তেজাই জানান, মাশার পরিবার ও তাদের বিক্ষোভে অংশ না নিতেও জোর করা হচ্ছে। কে বা কারা চাপ প্রয়োগ করছে, সেকথা মুখে উচ্চারণ না করলেও দীর্ঘ আলোচনায় এরফান বুঝিয়ে দিয়েছেন নেপথ্যের ঘটনা। এরফান নির্বাসিত ইরানী কুর্দি বিরোধী দল কোমলার একজন পেশমার্গ যোদ্ধা। তিনি ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের পতন ঘটাতে চাওয়াদের মধ্যে একজন।

এই বিভাগের আরও খবর