লালমনিরহাট বার্তা
ট্রেনের নিচে ঝাপ দিয়ে মা ও দুই সন্তান মৃত্যুর ঘটনায় মামলা, স্বামী গ্রেফতার
স্টাফ রিপোর্টার | ১৪ জানু, ২০২৩, ৯:৪৬ AM
ট্রেনের নিচে ঝাপ দিয়ে মা ও দুই সন্তান মৃত্যুর ঘটনায় মামলা, স্বামী গ্রেফতার

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টায় ট্রেনের নিচে ঝাপ দিয়ে মা ও দুই শিশুসন্তানের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন পাটগ্রাম ইউনিয়নের ধবলসুতি রহমানপুর গ্রামের গৃহবধু সুমি আক্তার (২৭), তাঁর মেয়ে তাসমিরা তাবাসুম তাসিন (৬) ও ছেলে তৌহিদ (২)। এ ঘটনায় লালমনিরহাট রেলওয়ে থানায় সুমির বাবা আজিজুল ইসলাম বাদী হয়ে আতœহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দেন। পুলিশ সুমির স্বামী রাশেদুজ্জামানকে শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে গ্রেপ্তার করে। লালমনিরহাট রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফেরদৌস আলী এসব তথ্য জানিয়েছেন।

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়দের মতে, দিনাজপুরের পার্বতীপুর থেকে আসা বুড়িমারী কমিউটার ট্রেনটি শুক্রবার সকাল ১০ টা ২০ মিনিটে বুড়িমারী স্থলবন্দর রেলস্টেশনে যেতে থাকে। এ সময় বুড়িমারী ইউনিয়নের দর্জিটারী এলাকার রেললাইনে চলন্ত ট্রেনের নিচে সুমি আক্তার দুই শিশুসন্তানকে নিয়ে ঝাপ দেন। এতে ঘটনাস্থলে রেলে কাটা পড়ে মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়। এ সময় ছেলে তৌহিদ গুরুত্বর আহত হয়। পাটগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তৌহিদকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে তৌহিদেরও মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকে রাশেদুজ্জামান পলাতক ছিলেন।

হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের সুমির বাবা আজিজুল ইসলাম বলেন, পারিবারিক বিষয় নিয়ে সুমির সাথে তাঁর স্বামী ও শাশুড়ি প্রায়ই ঝগড়া এবং মারপিট করত। শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) সকালেও ঝগড়া হয়। এ সময় সুমিকে মরতে বলে তাঁরা (স্বামী ও শাশুড়ি)। এ কারনে সুমি দুই সন্তানকে নিয়ে ট্রেনে ঝাপ দিয়ে আতœহত্যা করে। ঘটনার বিচার চেয়ে তাঁদেরকে আসামী করে লালমনিরহাট রেলওয়ে থানায় মামলা দিয়েছি।

লালমনিরহাট রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফেরদৌস আলী বলেন, শনিবার (১৪ জানুয়ারি) লালমনিরহাট মর্গে তিন লাশের ময়না তদন্ত করে পরিবারের নিকট মরদেহ গুলো হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রধান আসামী রাশেদুজ্জামানকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামীকে ধরতে চেষ্টা চলছে।

এই বিভাগের আরও খবর