লালমনিরহাট বার্তা
মাও হামলায় নিহত পুলিশকর্মীদের শেষশ্রদ্ধা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী বাঘেল
বার্তা অনলাইন ডেস্কঃ | ২৭ এপ্রি, ২০২৩, ১১:৩৭ AM
মাও হামলায় নিহত পুলিশকর্মীদের শেষশ্রদ্ধা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী বাঘেল

গত ২৬ এপ্রিল ছত্তীসগঢ়ের দান্তেওয়াড়ায় মাওবাদীদের রাখা বোমা ফেটে মৃত্যু হয়েছে ১০ পুলিশকর্মী এবং এক সাধারণ নাগরিকের। তাঁদের শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে মাও-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ক়ড়া অবস্থানের কথা জানালেন ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। তিনি এক মৃত পুলিশকর্মীর কফিনে কাঁধও দেন। জানান, জওয়ানদের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না।

তিনি আরো বলেন, ‘‘মাওবাদীদের ঘরে ঢুকে আমাদের জওয়ানরা কঠিন লড়াই করছেন। গত চার বছরে মাওবাদীদের ঘাঁটি এলাকায় আমাদের ৭৫টি শিবির করা হয়েছে। আমরা এ বার ওদের ঘরে ঢুকে পড়েছি।’’

দান্তেওয়াড়া জেলার কারলি এলাকার পুলিশ লাইনে পুলিশকর্মীদের শেষশ্রদ্ধা জানানো হয়। বৃহস্পতিবার সেখানে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘জওয়ানদের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না। মাও-বিরোধী অভিযানের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পাবে।’’ শেষশ্রদ্ধা জানানোর অনুষ্ঠানে এক পুলিশ জওয়ানের মৃতদেহ ভরা কফিন নিজের কাঁধে তুলে নেন মুখ্যমন্ত্রী। চারপাশ থেকে তখন আকাশ, বাতাস কাঁপিয়ে ভারতমাতার জয়গান। শ্রদ্ধা জানানোর পর পুলিশকর্মীদের দেহ পাঠিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের বাড়িতে। বাঘেল মৃতদের পরিজনদের সঙ্গেও কথা বলেন, সমবেদনা জানিয়ে বলেন, ‘‘সরকারের তরফ থেকে সমস্ত সহায়তা করা হবে। কোনও সমস্যা হলেই সরাসরি আমার কার্যালয়ে যোগাযোগ করবেন। কোনও সমস্যা হবে না।’’

বুধবার, দান্তেওয়াড়ার আরানপুর থানা এলাকায় মাও দমন অভিযানে বেরিয়েছিল ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি)। টহলদারি সেরে ফেরার সময় কনভয়ের একটি গাড়িকে লক্ষ্য করে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটায় মাওবাদীরা। বিস্ফোরণের অভিঘাতে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে ডিআরজিদের বহন করা মাল্টি ইউটিলিটি ভেহিকেল (এমইউভি)টি। মৃত্যু হয় দশ পুলিশকর্মীর। গাড়ির চালকেরও মৃত্যু হয়। বিস্ফোরকের পরিমাণ এতই বেশি ছিল যে, বিস্ফোরণস্থলে ১০ ফুট গভীর গর্ত তৈরি হয়ে যায়।

শেষশ্রদ্ধা জানানোর পর বাঘেল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেখানেই তিনি জানান, মাওবাদী দমন অভিযানে আরও তীব্রতা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া হবে। তিনি বলেন, ‘‘মাওবাদীদের ঘরে ঢুকে আমাদের জওয়ানরা কঠিন লড়াই করছেন। গত ৪ বছরে মাওবাদীদের ঘাঁটি এলাকায় আমাদের ৭৫টি শিবির করা হয়েছে। আগে বাইরে শিবির করা সম্ভব হত। এখন একেবারে ঘরে ঢুকে পড়েছি।’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘সরকারের উপর মানুষের বিশ্বাস ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাওবাদীরা ইতিমধ্যেই ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে। মাওবাদীরা কোণঠাসা অবস্থায় প্রত্যাঘাত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এই বিস্ফোরণের ঘটনা তারই বহিঃপ্রকাশ। কিন্তু জওয়ানদের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না।’’(সূত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন)

এই বিভাগের আরও খবর