লালমনিরহাট বার্তা
চীনা ভ্রমণকারীদের জন্য বিভিন্ন দেশের বিমানবন্দরে নতুন বিধিনিষেধ
বার্তা অনলাইন ডেস্কঃ | ১ জানু, ২০২৩, ৫:১০ AM
চীনা ভ্রমণকারীদের জন্য বিভিন্ন দেশের বিমানবন্দরে নতুন বিধিনিষেধ

চীনে হঠাৎই বেড়ে গেছে করোনা সংক্রমণের হার। এই নিয়ে সারা বিশ্বেও আবার নতুন করে করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সেই আশঙ্কা থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিমানবন্দরে চীন থেকে আগত যাত্রীদের করোনা পরীক্ষার নিয়ম চালু করা হয়েছে। চীন থেকে আসা ভ্রমণকারীদের জন্য বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষার নিয়ম নতুন করে চালু করা দেশের মধ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, ইতালি, জাপান এবং তাইওয়ান। এদিকে, ইংল্যান্ডের মন্ত্রীরাও জানিয়েছেন যে চীন থেকে যে যাত্রীরা আসবেন তাদেরকে বিমানে ওঠার আগেই একটি কোভিড নেগেটিভ টেস্টের প্রমাণ দেখাতে হবে।

চীনে যেসব কঠোর কোভিড বিধিনিষেধ ছিল তার অনেকগুলোই গত কয়েক সপ্তাহে তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে, দেশটিতে হঠাৎ করেই করোনা সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ার পর থেকেই বেশ কিছু দেশ চীন থেকে আসা ভ্রমণকারীদের স্ক্রিনিং করতে শুরু করেছে। অন্যদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে যে চীনের কর্মকর্তাদেরকে অবশ্যই কোভিড সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্য আরো বেশি করে জানাতে হবে।

সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কত লোক হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে, কতজন ইনটেনসিভ কেয়ারে আছে এবং কতজনের মৃত্যু হচ্ছে – এসব ব্যাপারে তারা তারো বেশি উপাত্ত দেখতে চান। বিশেষ করে ৬০ বছরের বেশি বয়স্ক এবং ঝুঁকিসম্পন্নদের টিকাদান সংক্রান্ত তথ্যও চেয়েছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা।

চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকের পর দেওয়া বিবৃতিতে বিশ্বস্বা্স্থ্য সংস্থা বলেছে, মহামারির পরিস্থিতির ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং তাৎক্ষণিক উপাত্ত চাওয়া হয়েছে চীনের কাছে। এদিকে, কিছু রিপোর্টে বলা হয়েছে চীনের অনেক হাসপাতাল করোনা রোগীতে পরিপূর্ণ।

সেখানে এখন লকডাউন ও কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম বাতিল করা হয়েছে এবং মানুষজন এক জায়গা থেকে অন্যত্র ভ্রমণ করতে পারছে। তবে এর পর থেকেই কোভিড সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। চীনের সরকারি হিসেবে প্রতিদিন প্রায় ৫,০০০ সংক্রমণের কথা বলা হয়। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে অনেকগুণ বেশি হবে।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নতুন বছর উপলক্ষে দেওয়া তার ভাষণে বলেছেন, ক্রমবর্ধমান কোভিড সংক্রমণের বিরুদ্ধে দেশের লড়াইয়ের ক্ষেত্রে সামনে 'শক্ত চ্যালেঞ্জ' রয়েছে।

দেশটিতে কোভিড নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার সিদ্ধান্তের পর এই প্রথম চীনা নেতার মুখ থেকে এ বিষয়ে কোন বক্তব্য শোনা গেল।এদিকে, করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় চীনা অর্থনীতির ওপরও হঠাৎ করেই বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। করোনার কারণে চীনের অর্থনীতি যে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তার আভাস পাওয়া যাচ্ছে চীনের সবশেষ অর্থনৈতিক পরিসংখ্যানে।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, টানা তৃতীয় মাসের মত ডিসেম্বরে চীনা কারখানাগুলোর কর্মকান্ড কমেছে । ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে যে পতন হয়েছে তার পরিমাণ ছিল প্রায় তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।

আগামী কয়েক মাসের জন্য চীনা অর্থনীতির পূর্বাভাসও ভালো নয়। কোভিড সংকটের ফলে শ্রমিক সংকট ও সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন দেখা দিতে পারে এমন সম্ভাবনার কথাও বলা হচ্ছে। (সূত্রঃ ইত্তেফাক)

এই বিভাগের আরও খবর