রংপুরের সড়কে প্রায় ১০ বছর পর বিক্ষোভ মিছিল করলো বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠন। আজ বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দলটির ৪৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে নগরীর পায়রা চত্বর থেকে গ্রান্ড হোটেল মোড় পর্যন্ত এই মিছিলে নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রইচ আহমেদ।
এর আগে রংপুরের বিএনপির সকল কর্মসুচি বন্দি ছিল গ্রান্ড হোটেল মোড়ের দলীয় অফিসে। অফিস থেকে মিছিল নিয়ে বের হয়ে প্রধান সড়কে উঠতে চাইলেই দলীয় সাইনবোর্ডের নীচের ফটকেই বাঁধা দিতো পুলিশ। সেখানেই সমাবেশ করে চলে যেতেন নেতাকর্মীরা। দীর্ঘ প্রায় ১০ বছরের এই নিয়ম ভাঙ্গতে দেখা গেছে গতকাল বুধবার।
নগরীর পায়রা চত্বর থেকে দুপুর সাড়ে ১২ টায় একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। জেলা সাধারণ সম্পাদক রইচ আহমেদের নেতৃত্বে এতে বিপুল পরিমান নেতাকর্মীর উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। পরে মিছিলটি জাহাজ কোম্পানী মোড়, প্রেসক্লাব, জীবনবীমা মোড়, দাবানল মোড়, সালেক পাম্প হয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামন দিয়ে শাপলা চত্বরের দিকে যেতে থাকলে সেখানে থাকা বিপুল পরিমান পুলিশ তাতে বাঁধা দিয়ে দলীয় কার্যালয়ে ঢুকিয়ে দেয়। এর একটু পরে জেলা যুবদল সভাপতি নাজমুল আলম নাজর নেতৃত্বে একটি মিছিল প্রবেশ করে দলীয় কার্যালয়ে। এছাড়াও বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠন ছোট ছোট মিছিল নিয়ে প্রবেশ করে কার্যালয়ে। তারাও দফায় দফায় পুলিশী বাঁধার মুখে পড়ে। পরে বেলা ২ টা পর্যন্ত দলীয় কার্যালয়ে জেলা বিএনপি ও অঙ্গ এবং সহযোগি সংগঠনের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করে সভাপতি সাইফুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক রইচ আহমেদসহ নেতৃবৃন্দ। এসময় বক্তারা অভিযোগ করেন, স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের কবর নিযে মিথ্যাচারে লিপ্ত ভোটারবিহীন আওয়ামীলীগ। জিয়ার মাজার নিয়ে মিথ্যাচার বন্ধ করা না হলে রংপুর থেকে গণ আন্দোলন গড়ে তোলার হুমকিও দেন বক্তারা। পরে দোয়া মোনাজাত করা হয়।

দীর্ঘ দিন পর দলীয় কার্যালয়ে বিপুল পরিমান নেতাকর্মীর উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। বিকেলে সেখানে মহানগর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা একই ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে।
অন্যদিকে বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে মহানগর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠন। মহানগর সিনিয়র সহ সভাপতি সামসুজ্জামানর সামুর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক ও কারমাইকেল কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস শহিদুল ইসলাম মিজুসহ নেতৃবৃন্দ।