লালমনিরহাট বার্তা
রংপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী বাবলু বিজয়ী
রংপুর অফিস | ১৮ অক্টো, ২০২২, ৪:১০ AM
রংপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী বাবলু বিজয়ী

রংপুর জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত বিদ্রোহী প্রার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু।তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৬০১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্ধী আওয়ামী লীগ মনোনীত বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ইলিয়াস আহমেদ পেয়েছেন ৪৮৪ ভোট আনারস প্রতীক নিয়ে তিনি লড়ছিলেন।ভোট গণনা শেষে গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান।

রিটার্নিং কর্মকর্তা আসিব আহসান জানান, নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ১ হাজার ৯৫ জন। এর মধ্যে ১ হাজার ৮৬ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। সকাল নয়টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ৮টি ভোটকেন্দ্রের ১৬টি কক্ষে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএমে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২ জন, সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য পদে তিনটি ওয়ার্ডে ১৪ এবং সাধারণ সদস্য পদে আট টি ওয়ার্ডে ২৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করেছেন। শতকরা ৯৯ দশমিক ০১৮ ভাগ ভোট গ্রহণ হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ১ হাজার ৯৫ জন। এর মধ্যে ১ হাজার ৮৬ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। সকাল নয়টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ৮টি ভোটকেন্দ্রের ১৬টি কক্ষে ইলেক ট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএমে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ভোটাররা। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২ জন, সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য পদে তিনটি ওয়ার্ডে ১৪ এবং সাধারণ সদস্য পদে আটটি ওয়ার্ডে ২৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করেছেন। শতকরা ৯৯ দশমিক ০১৮ ভাগ ভোট গ্রহণ হয়েছে।

বিজয়ী মাসাদ্দেক হোসেন বাবলু রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে নির্বাচন করায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তিনি দীর্ঘ ১২ বছর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের জেলার কমান্ডার ছিলেন। এ ছাড়া রংপুর চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্টও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক ছিলেন।

আওয়ামী লীগের ইলিয়াস আহমেদ জেলার ৮টি উপজেলার ৮টি কেন্দ্রের মাত্র দুটিতে জয়ী হয়েছেন। গঙ্গাচড়া কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ৫১ ভোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ৬৯ ভোট, বদরগঞ্জ কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ৭৯ ভোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ৬৫ ভোট, তারাগঞ্জ কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ১৭ ভোট স্বতন্ত্র প্রার্থী ৫১ ভোট, রংপুর সদর কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ৪৫ ভোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ৬৫ ভোট, পীরগাছা কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ৫০ ভোট স্বতন্ত্র প্রার্থী ৭০ ভোট, কাউনিয়া কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ৪৬ ভোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ৪৮ ভোট, মিঠাপুকুর কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ৮৫ ভোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ১৩৭ ভোট ও পীরগঞ্জ কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ১১১ ভোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ৯৬ ভোট পেয়েছেন।

এদিকে চলমান ভোটে বিভিন্ন স্থানে টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ করেছেন একাধিক প্রার্থী। প্রভাব বিস্তারেরও অভিযোগ আছে।ইতোমধ্যেই রংপুর রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী এ্যডভোকেট ইলিয়াস হোসেন লিখিত অভিযোগ করে বলেছেন, আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু টাকা দিয়ে বিভিন্ন ভোটারকে প্রভাবিত করেছেন। এছাড়াও অনেক ভোটার কে তিনি ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে ভোট দিতে আগ্রহী করতে বাধ্য করেছেন।যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু। তিনি বলেন, নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত জেনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী এই অভিযোগ করেছেন।

রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জি.এম.সাহাতাব উদ্দিন বলেন,প্রতিটি ভোট কেন্দ্রর কক্ষে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। এর আগেই ভোট গ্রহন কর্মকর্তাদের দেয়াহয়েছে প্রশিক্ষণ। উৎসব মুখর পরিবেশে ভোটগ্রহন নিশ্চিত করতে নেয়াহয়েছে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্ত¡বলয়। আনছারওপুলিশের পাশাপাশি কেন্দ্রে-কেন্দ্রে ছিল র‌্যাাবের টহল। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে রাখা হয়েছিল বিজিবি। প্রতিটিকেন্দ্রে একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এবং চার জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে রাখা হয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।

এই বিভাগের আরও খবর