লালমনিরহাট বার্তা
তাবলিগের জেলা ইস্তেমা ২৪ বছর পর পাটগ্রামে ৫, ৬ ও ৭ তারিখে
স্টাফ রিপোর্টারঃ | ৩ জানু, ২০২৩, ১২:১২ PM
তাবলিগের জেলা ইস্তেমা ২৪ বছর পর পাটগ্রামে ৫, ৬ ও ৭ তারিখে

দুই যুগ পর/প্রায় ২৪ বছর পর তাবলিগের জেলা ইস্তেমা লালমনিরহাটের পাটগ্রামে আগামী ৫, ৬ ও ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষ্যে পাটগ্রাম পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের মাস্টারপাড়া পূর্ব শহরের ধরলা নদীর তীরে বিশাল সামিয়ানা টানানো এবং অন্যান্য কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। স্বেচ্ছাশ্রমে দিন-রাত কাজ করছেন তাবলীগের বিভিন্ন সদস্যরা/সাথীরা।

জেলা ও উপজেলা তাবলিগের মুরুব্বীরা জানায়, তাবলিগ জামাতের বাংলাদেশ মারকাজের পরামর্শে প্রতি বছর দেশের প্রতিটি জেলায় ধারাবাহিকভাবে জেলা ইস্তেমার আয়োজন করা হয়। তাবলিগের কার্যক্রম বেগবান রাখতে এ ধরনের ইস্তেমা করা হয়। সম্প্রতি জেলা ও উপজেলার তাবলিগের শুরা সদস্য মুরুব্বীরা পরামর্শ করে দুই যুগ পর/প্রায় ২৪ বছর পর এবারে পাটগ্রামে জেলা ইস্তেমা আয়োজনে একমত হয়। এর আগে ১৯৯৮ সালে জেলা ইস্তেমা হয়েছিল পাটগ্রামে। জেলা ও উপজেলার তাবলিগের শুরা সদস্য মুরুব্বীরা পরামর্শ করে অধিকাংশের মতামতের ভিত্তিতে জেলার যে কোনো উপজেলায় জেলা ইস্তেমার আয়োজন করা হয়। পাটগ্রামে জেলা ইস্তেমার এবারের পরিচালক/জিম্মাদার জেলা শুরা সদস্য সহিদার রহমান ও পাটগ্রাম উপজেলা সদস্য শুরা সদস্য সাবেক বিচারক (জেলা জজ) রেজাউল করিম মোহন। দশ একরেরও অধিক আয়তনের ইস্তেমার মাঠ জুড়ে সামিয়ানা টানানো এবং মূল মঞ্চ তৈরির কাজ শেষের দিকে। আগামী ৫ জানুয়ারি ফজরের নামাজের পর ইস্তেমার মূল বয়ান শুরু হবে। ইস্তেমার ময়দানে দেশ-বিদেশের ৫০ হাজার থেকে লক্ষাধিক মানুষ অবস্থান করবে ও আখেরী মুনাজাতে দুই লক্ষাধিকেরও অধিক মানুষের অংশ গ্রহনের আশা করছেন আয়োজকরা।

পাটগ্রাম পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের তাবলিগের সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন বলেন, ‘বহুদিন পর আমাদের এখানে তাবলিগের ইস্তেমা হচ্ছে। এ ইস্তেমা কয়েক বছর পর পর হলে সবার অনেক ভালো হবে।’

পাটগ্রাম পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের তাবলিগের সদস্য হবিবর রহমান পলাশ বলেন, ‘জেলা ও উপজেলার মুরুব্বীগণ পরামর্শ করে এ ইস্তেমা পাটগ্রামে আয়োজনে মত দিয়েছেন। সফল করতে সর্বাতœক চেষ্টা চলছে, আল্লাহর রহমতে ভালোই হবে।’

পাটগ্রাম পৌরসভার সাবেক মেয়র শমসের আলী বলেন, ‘এ জেলা ইস্তেমাকে কেন্দ্র করে পাটগ্রামের সর্ব স্তরের মানুষ সহযোগীতা করছে। ইতিমধ্যে দেশ-বিদেশ থেকে তাবলিগের মেহমানরা এসেছেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল এবং জেলা, উপজেলা প্রশাসন সবসময় খোঁজ-খবর রাখছেন। ইস্তেমা সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করতে সবাই সজাগ আছে।’

এই বিভাগের আরও খবর